চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভাতিজিকে একাধিক বার ধর্ষণ!

রাজবাড়ী: আমার চাচা আমাকে ভালো চাকরি দেয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে রুমে আটকে রেখে জোরপূর্বক আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। পরে পুলিশ আমাকে ৪০দিন পর উদ্ধার করেছে বলে বুধবার (১৫ মে) বিকেলে রাজবাড়ী আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থেকে অপহৃতা এক তরুণী (১৩)।

তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। বালিয়াকান্দি থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, উপজেলা নবাবপুর ইউনিয়নের ঠেঙ্গাবাড়ীয়া গ্রামের ইউসুফ মোল্যার ছেলে মাসুদ মোল্যা তার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে (১৩) কে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো। তার কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তাকে ক্ষতি করার জন্য উঠেপড়ে লাগে।

গত ৫ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে বাড়ির সামনে রাস্তার উপর থেকে জোরপূর্বক ওই তরুণীকে অটোতে তুলে নিয়ে যায়। তাকে আটকে রেখে হত্যার হুমকি দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করছে বলে গত ৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে ওই তরুণী তার পিতাকে জানায়।

ওই তরুণীর পিতা বাদী হয়ে রাজবাড়ী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ১৮ এপ্রিল মিস, পি-৮০/১৯ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি রেকর্ডের জন্য বালিয়াকান্দি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

গত ৪ মে বালিয়াকান্দি থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে অপহৃতা তরুণীকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রাখি। ঢাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃতা তরুণীকে উদ্ধার করাসহ বুধবার তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। সে রাজবাড়ী আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে জানিয়েছে, তার চাচা ভালো বেতনে ঢাকায় চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ঘরে আটকে রেখে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। তাকে তার পিতার জিম্মায় প্রদান করা হয়েছে। আসামী মাসুদ মোল্যাকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম