• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চার জেলায় ‘গোলাগুলিতে’ নিহত ৪


মফস্বল ডেস্ক জুলাই ২৪, ২০১৮, ১১:৩৩ এএম
চার জেলায় ‘গোলাগুলিতে’ নিহত ৪

ঢাকা: নড়াইলের লোহাগড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, নাটোরের লালপুরে ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৩ জুলাই) গভিররাতে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা ডাকাত দলের সদস্য ও মাদক ব্যাবসায়ী বলে দাবি করছেন র‌্যাব ও পুলিশ।

আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি ফরহাদ খান জানান- জেলার লোহাগড়া উপজেলার কচুবাড়িয়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৩ জুলাই) রাত ৩টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

এ সময় ওয়ানস্যুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, দুটো ধরালো অস্ত্র ও একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, বুন্দকযুদ্ধের সময় লোহাগড়া থানার এসআই মাহফুজুল হাসান, এএসআই প্রলয় চক্রবর্তী, কনস্টেবল মুরাদ ও টিটু আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

লোহাগড়া থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে কয়েকজন ডাকাত কচুবাড়িয়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেখানে উপস্থিত হলে ডাকাতদলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়।
উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে পুলিশ গুলিবিদ্ধ এক ডাকাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ডাকাতের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন জানান- জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুরে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। র‌্যাবের দাবি নিহত ব্যক্তি ডাকাত দলের সদস্য।

র‌্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের ডেপুটি কমান্ডার এএসপি আবু খায়ের জানান, নিয়মিত টহল অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টায় মঙ্গলবার র‌্যাবের অভিযানিক দল শিবগঞ্জ-চৌডালা সড়কের মোহাম্মদপুর-ত্রিমোহনী এলাকায় পৌছলে র‌্যাবের টহল দলকে লক্ষ করে গুলি ছোঁড়ে ডাকাত দলের সদস্যরা।

এ সময় আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। পরে গোলাগুলি থেমে গেলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব সদস্যরা।

নাটোর প্রতিনিধি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী জানান- জেলার লালপুরে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আহাদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক মাদক ব্যাবসায়ী নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে র‌্যাবের দুই সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, মাদক এবং গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

আহত র‌্যাব সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহত মাদক ব্যবসায়ী আহাদুল ইসলাম উপজেলার কাজিপাড়া গ্রামের মোমিন এর ছেলে। তার বিরুদ্ধে লালপুর থানায় মাদক ও চোরাচালান সহ মোট ৮টি মামলা রয়েছে। সে জেলার অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

র‌্যাব-৫ সিপিসি- ২ এর কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে র‌্যাবের একটি দল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টহল দেয়। এ সময় টহল দলটি সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের রাস্তা দিয়ে লালপুর সড়কে উঠার সময় একটি নির্জন স্থানে কয়েকজন ব্যক্তির উপস্থিতি টের পায়।

পরে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলের দিকে এগুতে থাকলে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পরে র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ে তাদের প্রতিরোধ করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ৫মিনিট গুলি বিনিময়ের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকে এবং বাঁকীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে আহাদুল ইসলামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, পিস্তলের গুলির খালি খোসা, ফেনসিডিল ৫৭ বোতল সহ অন্যান্য জিনিসপত্র জব্দ করা হয়।

কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা আরো জানান, রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলা হতে লালপুর হয়ে বড়াইগ্রামের বনপাড়াগামী রাস্তাটি মাদক চোরাচালানের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যার কারনে লালপুর হতে বনপাড়া রাস্তায় র‌্যাবের টহলও জোরদার করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান- জেলার সোনারগাঁয়ে র‍্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযু‌দ্ধে আলমগীর নামের এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) ভোরে উপজেলার পিরোজপুর চেঙ্গাকান্দি আগমন সিএনজি স্টেশনের পাশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

র‍্যাবের দাবি, বন্দুকযুদ্ধে র‍্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন এবং ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও ১৫০০ পিস ইয়াবা।

র‌্যাব-১১ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শেখ বিল্লাল হোসেনের ভাষ্যমতে, মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ভোরে চেঙ্গাকান্দি আগমন সিএনজি স্টেশনের পাশে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে আলমগীর ও তার সহযোগীরা র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলমগীর।

এএসপি বলেন, বন্দুকযুদ্ধে র‍্যাবের হাবিলদার হাবিবুর রহমান ও কনস্টেবল মিজান তালুকদার আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও ১৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। আলমগীরের নামে বিভিন্ন থানায় ১৯ মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!