• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চিন্তা বাড়াচ্ছে সিগারেট-বিড়ির পোড়া টুকরো


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০, ০৬:৪৪ পিএম
চিন্তা বাড়াচ্ছে সিগারেট-বিড়ির পোড়া টুকরো

ঢাকা : ভারতের এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সিগারেটের শেষ অংশে থাকা সেলুলোজ অ্যাসিটেটের মাত্র ৩৭.৮%ই নষ্ট হয় দু'বছরে। তাঁদের সীমিত স্টাডিতে মানব শরীরে এবং পরিবেশে কতটা বিষ ছড়ায় তা পরিষ্কার হয়নি।

সিগারেট বিড়ির পোড়া টুকরো যাতে পরিবেশ দূষণের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়, তার জন্য সেগুলিকে ঠিকভাবে নষ্ট করতে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে তিন মাসের মধ্যে গাইডলাইন তৈরির পরামর্শ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। 'ডক্টর্স ফর ইউ' নামে চিকিৎসকদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার করা মামলার প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহের শেষে এই পরামর্শটি দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ পরিবেশ আদালত।
 
মামলায় চিকিৎসকদের সংস্থার বক্তব্য ছিল, সিগারেট এবং বিড়ির ধোঁয়া বাতাসকে দূষিত করে। পোড়া টুকরো যত্রতত্র ফেলায় প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে মাটি এবং পানি। সিগারেট এবং বিড়ির অবশিষ্টাংশ সহজে জৈব উপায়ে নষ্ট করা যায় না। মাটিতে মিশে যেতে ছ'মাস থেকে এক বছরেরও বেশি সময় লাগে। আর সেই দীর্ঘ সময় ধরে ওই টুকরোয় থাকা প্রায় ৬০০ রকমের রাসায়নিক মেশে মাটিতে। বৃষ্টির জলে ধুয়ে তা গিয়ে পড়ে নদী এবং সমুদ্রে। গোটা পৃথিবীর পরিবেশ বিশেষজ্ঞদেরও মাথাব্যথার অন্যতম কারণ এটি।
 
আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী জয়দীপ সিং বলেন, 'শুধু এ সবই নয়, নানা আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, সিগারেট-বিড়ির পোড়া টুকরোয় প্রচুর ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক থাকে।'

শুধু তা-ই নয়, আধ-নেভানো সিগারেট এবং বিড়ির টুকরো অনেক ক্ষেত্রেই অগ্নিকাণ্ডের কারণ হয়ে দাঁড়ায় (২০১০ সালে কেরলের ৬০ হেক্টর জমিতে ভয়াবহ আগুনের নেপথ্য ছিল আধ পোড়া সিগারেটই)। এই পরিস্থিতিতে সিগারেট এবং বিড়ির অবশিষ্টাংশকে 'হ্যাজার্ডাস' বা ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত করে তা সঠিক ভাবে নষ্ট (ডিসপোজ) করার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন মামলাকারীরা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রক, পরিবেশমন্ত্রক, শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় দূষণ পর্ষদকে তাদের বক্তব্য জানাতে বলে জাতীয় পরিবেশ আদালত।

স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়ে দেয়, সিগারেট এবং বিড়ির পোড়া টুকরো জৈব উপায়ে নষ্ট করা যায় না। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নির্দেশ দেয়, এই দুই পদার্থ মানুষ ও পরিবেশের কতটা ক্ষতি করছে তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিক কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

এই পরিস্থিতিতে পরিবেশরক্ষার স্বার্থে গাইডলাইন তৈরির পরামর্শ দেয় আদালত। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, 'কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ গাইডলাইন তৈরি করে দিলে তা রাজ্য বলবৎ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।'

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!