• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে স্বামীর লিঙ্গ কর্তন


দিনাজপুর প্রতিনিধি মে ১৭, ২০১৯, ০৯:২৩ পিএম
চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে স্বামীর লিঙ্গ কর্তন

সংগৃহীত

দিনাজপুর: জেলার পার্বতীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর লিঙ্গ কেটে দেয়ার ঘটনায় এলাকার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় স্ত্রী শাহিনুর আক্তারকে (২৮) পুলিশ আটক করেছে।

পার্বতীপুর মডেল থানায় তিনজনকে আসামি করে শুক্রবার (১৭ মে) মামলা দায়ের করেন আহত মন্দির রহমানের বড় ভাই মতিউর রহমান। শাহিনুর ছাড়া মামলার অপর দুই আসামি আব্দুল খালেক (৫৫) ও রাশেদা বেগম (৪৫) পলাতক রয়েছেন।

উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) স্ত্রী শাহিনুর আক্তার রাতের খাবারের পর দুধের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে দেয় তার স্বামী মশিউর রহমানকে (৩২)। বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়লে ধারালো ব্লেড দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

মামলার বাদী মতিউর রহমান জানান, ১১ বছর আগে পার্বতীপুরের পাশের বদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর রামনাথপুর গয়দেয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে শাহিনুর আক্তারের সাথে তার ছোট ভাই মশিউর রহমান মুকুটের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সোহানুর রহমান (৮) ও শীতল (৫) নামে দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। ঘটনার পরে মশিউরের বড় ছেলে সোহানুর রহমানের ঘুম ভাঙলে সে মেঝেতে রক্ত দেখতে পেয়ে চিৎকার করে।
বাড়ির লোকজন এসে আহত মশিউরকে উদ্ধার করে প্রথমে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে দিনাজপুর ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে মশিউর রহমান স্ত্রীকে না জানিয়ে ঢাকায় গোপনে বিয়ে করে। বিষয়টি জানার পর শাহিনুর আক্তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এলাকায় সালিস বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করে মামলা প্রত্যাহার করে নেয় শাহিনুর। কিন্তু এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় এবং সময় অসময়ে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত।

পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি মোখলেছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!