• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ছক্কা হাঁকিয়ে বীরের মতো জিতল বাংলাদেশ


ক্রীড়া ডেস্ক নভেম্বর ৩, ২০১৯, ১০:৫৬ পিএম
ছক্কা হাঁকিয়ে বীরের মতো জিতল বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

ঢাকা : অবশেষে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে জয় ধরা দিয়েছে। ভারতের ১৪৮ রান বাংলাদেশ ১৯.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে। ১৮ ওভার অবধি বলা যাচ্ছিল না ম্যাচটা কে জিতবে। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২২ রান। খলিল আহমেদের করা ১৯ তম ওভারের শেষ চার বলে পরপর বাউন্ডারি ম্যাচটা নাগালের মধ্যে নিয়ে আসেন মুশফিকুর রহিম। আর ২০ তম ওভারের তৃতীয় বলে দীপক চাহারকে ছক্কা মেরে বীরের মতো ভারতের মাটিতে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ। এটাই ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়।

এদিন মুশফিকুর রহিম অসাধারণ ইনিংস উপহার দিয়েছেন। শেষ অবধি তিনি ৪৩ বলে ৬০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আট বাউন্ডারির বিপরীতে একটা ছক্কা মেরেছেন। ৭ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অবশ্য এর আগে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছিলেন সৌম্য সরকার। তবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দীপক চাহারের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে লিটন (৭) যেন পয়েন্টে লোকেশ রাহুলকে ক্যাচ প্র্যাকিটস করালেন। এরপর মোহাম্মদ নাঈম ফিরেছেন ২৬ রানে।

এর আগে ব্যাট করতে নামা ভারতকে থামতে হয়েছে ১৪৮ রানেই। রোহিত শর্মাকে প্রথম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লুয়ের ফাঁদে ফেলে ফিরিয়ে দিয়েছেন শফিউল ইসলাম। যদিও তিনি রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু বাঁচতে পারেননি। ১০ রানে অধিনায়ক রোহিতকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছে ভারত। অবশ্য শফিউলের প্রথম বলেই তিনি লেগ সাইডে ফ্লিক করে চার মেরে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ওভারের শেষ বলে তাঁকে ফিরতে হলো ৯ রান করে।

এরপর সপ্তম ওভারে আমিনুল ইসলামের তৃতীয় বলে খুব সহজ ক্যাচ তুলে দেন লোকেশ রাহুল (১৫)। যেটা লুফে নিতে মোটেও অসুবিধে হয়নি মাহমুদউল্লাহর। তার বিদায়ের পর উইকেটে এসেই মারতে  শুরু করেন শ্রেয়াস আইয়ার। তাঁকেই নাঈমের ক্যাচ বানিয়ে থামিয়েছেন আমিনুল। ছক্কা মারতে গিয়ে একেবারে সীমানায় ক্যাচ দিয়েছেন আইয়ার (২২)।

এদিন কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যানই ঠিকঠাক জ্বলে উঠতে পারেননি। ঋষভ পন্থের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হওয়া শিখর ধাওয়ান করেছেন সর্বোচ্চ ৪১ রান। ৪২ বলে তিনি এই রান করেছেন। ২৬ বলে ২৭ রান করেছেন পন্থ। শেষ দিকে ক্রণাল পাণ্ডিয়া ১৫ আর ওয়াশিন টন সুন্দরের ১৪ রানের ক্যামিও  ইনিংসে ১৪৮ রানের সংগ্রহ পায় ভারত।
আমিনুল ২২ ও শফিউল ৩৬ রানে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১১ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন আফিফ হোসেন। সবমিলিয়ে মাহমুদউল্লাহ এদিন ৮ জন বোলার ব্যবহার করেছেন।

 এর আগে রোববার (৩ নভেম্বর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদউল্লাহ। এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছে মোহাম্মদ নাঈম শেখের। নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে নেই সাকিব আল হাসান। স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হওয়ায় ভারত সফর মিস করেছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।

তবে মাহমুদউল্লাহ এটাকে দেখছেন একটা সুযোগ হিসেবে। তিনি বলেছেন,‘ সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের অনুপস্থিতে অন্যদের জন্য দারুন একটা সুযোগ।’ এখন দেখার এই সুযোগটা কে কতটা কাজে লাগাতে পারেন। দিবারাত্রীর ম্যাচে শিশির একটা বড় ফ্যাক্টর। আর এ কারণেই বোলিং বেছে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার, ঋষভ পন্থ, ক্রুণাল পাণ্ডিয়া, শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, দীপক চাহার, যুবেন্দ্র চাহাল, খলিল আহমেদ।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, আমিনুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন।

সোনালীনিউজ/আরআইবি

 

 

Wordbridge School
Link copied!