• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ছবির মেয়েটাকে চিনেছেন?


সোনালীনিউজ ডেস্ক মে ২৭, ২০১৯, ০২:৫৯ পিএম
ছবির মেয়েটাকে চিনেছেন?

ছবিতে বউয়ের সাজে যে মেয়াটাকে দেখতে পাচ্ছেন এই সেই আফরোজা খানম মুমু(১৮), যিনি গত ১৬ মে চট্টগ্রামের লোহাগাড়াই শ্বশুর বাড়ীতে বিষপান করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে পরে মুমুর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গতকাল পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যায়!!

কি ভাবছেন আপনারা?মেয়েটা আত্মহত্যা করার কারন খুজছেন তাই তো?
হ্যাঁ মুমুকে গত তিনমাস আগে ৪৫+ এক প্রবাসী আংকেলের সাথে বিয়ে দেয় তার অভিভাবকরা!তাই আমরা বলতে পারি মেয়ের আত্মহত্যার পিছনে পরোক্ষ ভাবে মেয়ের অভিভাবাকগন দায়ী, কারন টাকার কাছে তারা তাদের মেয়েকে বিক্রি করে দিলো মনে হচ্ছে!চিন্তা করে দেখুন এই সমাজ টাকার কাছে বড্ড অসহায়,কতটা নিচে নামতে পারে টাকার জন্য? নইলে কি কোন মা-বাবা তার ১৮ বছরের এক আদরের কন্যাকে এমন ভাবে টাকার কাছে বিক্রি করে দেয়!

বিয়েতে হয়ত মেয়েটা রাজি ছিলো না, কিন্তু মেয়েটার হয়ত প্রতিবাদ করার সাহস ছিলো না!তাই মা-বাবার কথার বাইরে যেতে পারলো না,মুখ বুঝে এমন অমানবিক অন্যায় মেনে নিলো মুমু!কিন্তু, বিয়ের ঠিক ২-৩ মাসের মাথায় গতকাল তিনি বিষপান করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন, তিনি হয়ত মনে মনে ভেবেছেন এই নিষ্টুর সমাজ আমার জন্য নয়, তার হয়ত অনেক স্বপ্ন ছিলো, কিন্তু এই সমাজ তার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দিলো! তিনি কখনোই মনে মনে মানতে পারেন নাই এমন অন্যায়, তাই কোন অভিযোগ ছাড়াই নিরবে চলে গেলেন চিরস্থায়ী না ফেরার দেশে!মুমু হেরে গেলো তার জীবনের কাছে!

এই ডিজিটালাইজেশনের যুগে এমন বর্বর চিত্র দেখতে হবে তা স্বপ্নেও চিন্তা করা যায় না, আমি মনে করি মুমুকে যারা আত্মহত্যা করার মতো অবস্থানে নিয়ে যেতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করে কোন সুফল পাওয়া যাবে না!কারন, সব কিছু আইন প্রয়োগ করে হয় না, এরজন্য দরকার সামাজিক সচেতনতা, সামাজিক সচেতনতায় পারে এসব অমানবিক ঘটনা থেকে মুমুদের রক্ষা করতে!

মুমু চলে গিয়ে এই সমাজকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন, অবলা মুমুরা প্রতিবাদ করে পারে না তাই বলে তাদের সাথে এমন অবিচার?মুমু আমাদের সমাজকে বুঝিয়ে গেছেন একটা বিয়েতে অবশ্যই একটা মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া অত্যাধিক প্রয়োজন, কারন যে মেয়েটা আজীবন সংসার করবে সেই মেয়েটার মতাদর্শকে মূল্যায়ন করতে চাই না আমাদের এই সমাজ, পরিশেষে অনেক মেয়ে আছে সাংসারিক জীবনে জীবন্ত লাশ বেচেঁ থাকে, আর অনেক মেয়ে আছে মুমুর মতো খারাপ একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে!

আমি আমাদের অভিভাবকদের উদ্দশ্যে বলতে চাই আপনারা মেয়ে বিয়ে দেওয়ার সময় অবশ্যই অবশ্যই মেয়ের মতামতকে মূল্যায়ন করবেন, আমরা আর কোন মুমুকে হারাতে চাই না!

বি:দ্র:- আমি আমার বাক্তিগত অভিমত প্রকাশ করলাম, ভুলে হলে ক্ষমা করবেন!

(ফেসবুক থেকে নেওয়া)

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!