• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ছাত্র-তুরুণ-যুবকদের জন্য লড়াই করে যাবো : মেহেদী হাসান নোমান


বাবুল হৃদয় নভেম্বর ১৫, ২০১৮, ০২:৪৬ পিএম
ছাত্র-তুরুণ-যুবকদের জন্য লড়াই করে যাবো : মেহেদী হাসান নোমান

মেহেদী হাসান নোমান

ঢাকা: ‘আমি শতভাগ আশাবাদি দল আমাকেই নমিনেশন দিবে। বিগত বছরগুলিতে আওয়ামীলিগের শত নির্যাতন, হামলা, মামলা সহ্য করে এলাকার ছাত্র, তরুণ ও যুবকদের নিয়ে কাজ করেছি। তাদের আগলে রেখেছি। আমার বিশ্বাস দল আমাকেই নমিনেশন দিবে। আমি জীবন বাজি রেখে দলের জন্য, এলাকার লোকের জন্য কাজ করে যাবো আজীবন। সোনালীনিউজ অফিসে এসে কথাগুলো বলেছেন, (নাটোর-৪) বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর আসনের বিএনপির তরুণ মেধাবী ছাত্র নেতা। ছাত্র-তরুণ ও যুবকদের নয়নের মনি, মেধাবী ছাত্র, ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ব্রিটিশ ল স্টুডেন্ট এ্যালিয়েন্স এবং ২০০৯/ ১০ এর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দলের প্রতিষ্ঠাতা আন্দোলনের কর্মী / ফাউন্ডেশন মেম্বারের অন্যতম মো: মেহেদী হাসান (নোমান)।

১২ নভেম্বর পল্টন বিএনপির কার্যলয় থেকে নমিনেশন পত্র তুলেছেন তরুণ এই নেতা। তিনি বলেন, ‘গোড়া থেকেই আমরা বিএনপি। বাপ-চাচা, নানারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। বাবা বর্তমান ২ নং বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি এবং একাধিক বার তিনি থানা কমিটির সদস্য ছিলেন।

নানা শাহাজাহান আলী মাষ্টার বি,এস,সি,মুসলীমলীগ থেকে দলীয় টিকেট নিয়ে সংসদ নির্বাচনও করেছিলেন। নোমান বলেন, ছোটবেলা থেকে আমি দেখে এসেছি বাপ-চাচারা, দাদা-নানা সামাজিক কাজ করতেন। এলাকার স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ঈদ মাঠ প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিয়ে, ফকির-মিসকিন খাওয়ানো ছিল নিত্যদিনের রিতি। এসব দেখে দেখেই বড় হওয়া এবং মানুষের সেবা করার রীতিটা আসলে পরিবার থেকেই এসেছে। আর রাজনীতিক দলের হয়ে জনগনের সেবা করা, নেতা হওয়া, নেত্রীত্ব দেওয়ার প্লানটা এসেছে স্কুল-কলেজ লাইফ থেকেই।

মেহেদী হাসান নোমান (২৭)পড়া-লেখা করেছেন বাবা আলহাজ্ব শতকত ওসমানের গড়া রয়না ভরট সরকারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে যা তার বাড়ীর নামেই নামকরণ। এরপর দেশের প্রাইভেট ভার্সিটি নর্দান ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি পরে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, পরবর্তীতে বিপিপি ইউনিভার্সিটি, লন্ডন) থেকে দ্বিতীয় ব্রিটিশ  এলএলবি ডিগ্রীলাভ  করেন। শিগগিরই লন্ডনে ব্যারিস্টারি শেষ করার ইচ্ছে রয়েছে তার।

মেহেদী হাসান নোমান

প্রতিভাবান এই ছাত্র নেতা পড়া-শুনার মাঝেই বিএনপির রাজনীতির লড়াকু সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। নোমান বলেন, ‘হঠাৎ করেই রাজনীতির মাঠে এসে নমিনেশান নমিনেশনপত্র তুলিনি। দলের জন্য নানা ত্যাগ, সংগ্রাম করেছি। ২০১৩ সালে উত্তরবঙ্গ থেকে সরকার পতনের সবচেয়ে বড় আন্দোলন হয়েছিল তার প্রধান নেত্রীত্ব ছিল আমার। সেই আন্দোলন থেকে সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়েছিল। এছাড়া এখনোএলাকায় ক্ষমতাশীনদের নানা অণিয়ম, অন্যায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি। মৃত্যুর হুমকি নিয়ে জীবন বাজি রেখে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং আমার নিজ কর্মীদের পাশে দাড়িয়ে বিগত ৮/১০ বছর যাবত তাদের সকল মামলা নিজ খরচে বহন করছি।

বিএনপির অকুতোভয় তরুণ এই নেতার রাজনৈতিক আইডল তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘মরহুম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ভালোলাগা থেকে রাজনীতিতে। জিয়াউর রহমানের আদর্শ তারেক রহমানের ভেতরে রয়েছে। তিনি ছাত্র-তরুণ ও যুবদের এগিয়ে আসতে বলেছেন। তিনি সাহস যুগিয়েছেন, তার স্বপ্ন এখন তরুণ দেরকে নিয়ে। তার সেই আদর্শের কারণে তারকে রহমান আমার আউডল। তার আদর্শের জন্য আমি দলের জন্য জীবন দিতে পারি।’

রাজনীতিতে আগামীর প্রতাশা নিয়ে বলেন, ‘সংসদীয় নির্বাচনে ছাত্র তরুণ-যুবকদের জন্য ২০% আসন বরাদ্দ চাই। দলে তরুণদের জায়গা দেওয়া হোক। কারন দেশে ৪০ % ভোট ব্যাংক যা প্রায় ৪ কোটি এই ছাত্র-তরুণ-যুবকরাই। আমি চাই ছাত্র-তরুণ-যুবকদের সাথে এ দেশের এবং সংসদের একটি সেতু বন্ধন হোক। অথচ, তাদের নিয়ে কথা বলার কেউ নেই! সাম্প্রতিক সমায়ে শুধু তরুণদের নিয়ে কথা বলতে দেখেছি কেবল আমাদের নেতা তারুন্যের অহংকার তারেক রহমান। একমাত্র তিনি মনে করেন ছাত্র-তরুণ- যুবকরা পার্লামেন্টের সদস্য হয়ে দেশ পরিচালনায় সক্ষম হবে। দেশকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে। 

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি যদি সংসদ সদস্য হই তাহলে আমার প্রথম কাজ হবে ছাত্রদের জন্য একটি ছাত্র মন্ত্রনালয়ের প্রস্তাব করা। যা কেবল ছাত্রদের কল্যাণকর। যেমন, গরীব ছাত্র চিকিৎসার ব্যবস্হা করা, প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটা ডিপার্টমেন্টে ৫/১০ জন এ+ গরীব শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া, দেশের প্রতিটা কোম্পানিতে ২০ /৩০ টা ছাত্রের পার্টটাইম জবের ব্যবস্থা করা, এবং গরীব শিক্ষার্থীরা যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবার পরেও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারে না তার ব্যবস্থা করা। 

এ ছাড়াও ছাত্রদের বিরুদ্ধে সকল অত্যাচারের প্রতিবাদ করা। তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করাই হবে আমার লক্ষ্য। পাশাপাশি নিজ এলাকার জনসাধারণের জন্য উন্নয়ন মূলক কাজ করা। আমি বিশ্বাস করি এদেশের গনতন্ত্র, শৃংখলা আবার ফিরিয়ে আনবে এই তরুণরাই। তাই এবারেই তারুন্যের অহংকার তারেক রহমান ছাত্র-তরুণ-যুবকদের জন্য কিছু করে দেখাবেন এটা আমাদের সকল তরুণদের বিশ্বাস। তরুণরা তাকিয়ে আছে তার দিকেই আর তিনি একমাত্র এটা বাস্তবায়ন করবেন।

ভিডিও দেখুন-

সোনালীনউিজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!