• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ছাত্রদলের কাউন্সিলে আলোচনার শীর্ষে সুপার ফাইভ


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯, ০৪:৩৯ পিএম
ছাত্রদলের কাউন্সিলে আলোচনার শীর্ষে সুপার ফাইভ

ঢাকা: ১৪ সেপ্টেম্বরের এই নির্বাচন সামনে রেখে কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা। ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশের প্রতিটি এলাকা। যাচ্ছেন জেলা, মহানগর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলরদের কাছে। নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, এতে দৃঢ় হচ্ছে সাংগঠনিক বন্ধন। সক্রিয়তা বাড়ছে কর্মীদের মধ্যে। ২৭ বছর পর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন শীর্ষ দুই নেতা।

আর এবার সভাপতি পদে প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯ জন। সভাপতি পদে শক্তিশালী হিসেবে তিনজনের নাম উঠে এসেছে। তারা হলেন কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মো. ফজলুর রহমান খোকন ও হাফিজুর রহমান হাফিজ। প্রচার প্রচারণায় শুরুতে এগিয়ে থাকলেও কার্যক্ষেত্রে মাঠে পিছিয়ে পড়েছেন হাফিজ। সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন ফজলুর রহমান খোকন ও রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।

অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন, মো: হাসান (তানজিল হাসান) ও শাহনেওয়াজ। তবে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের মধ্যে ব্যক্তি ইমেজে অন্যদের থেকে নিরবে এগিয়ে গেছেন মো: হাসান (তানজিল হাসান)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তার ঘনিষ্ঠরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করলেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষের সঙ্গে রয়েছে তার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। ইতিবাচক রাজনীতির ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন এই প্রার্থী।

জানা গেছে, সভাপতি প্রার্থী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের বাড়ি যশোরের কেশবপুরে। তিনি বিলুপ্ত কমিটির বৃত্তি ও কল্যাণ সম্পাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন যুবদলের এক প্রভাবশালী নেতা।  আরেক সভাপতি প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজের বাড়ি বাগেরহাটে। তিনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তার পক্ষে শুরু থেকেই কাজ করছেন স্বেচ্ছাসবেক দলের এক নেতা। যিনি গত সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ এলাকায় প্রার্থী হয়েছিলেন। মো. ফজলুর রহমান খোকনের বাড়ি বগুড়ার শেরপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীর পক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নতুন এক সদস্য কাজ করছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী মো: হাসান (তানজিল হাসান) এর বাড়ী পটুয়াখালী। তিনি বিগত আন্দোলন সংগ্রামের সব সময় মাঠে ছিলেন। মাঠ পর্যায় নেতা কর্মীরাও তাকে অনেক পছন্দ করেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন জেলায় জেলায়। ভোটারদের কাছে ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতারাও তার পাশে আছে বলে শোনা যাচ্ছে।

এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদের আরেক প্রার্থী শাহনেওয়াজের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়ায়। শুরুতে তার অবস্থান শক্তিশালী থাকলেও সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পেছনে পড়ে যাচ্ছেন এই প্রার্থী। ধারণা করা হচ্ছে, তার পেছনে থাকা বড় ভাইদের কেউ কেউ তার থেকে দূরে সরে গেছেন।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ২ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলের প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন। সভাপতি আট ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯ জন প্রার্থীকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি। বৈধ আট সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, হাফিজুর রহমান, রিয়াদ মো. তানভীর রেজা রুবেল, মো. এরশাদ খান, মো. ফজলুর রহমান খোকন, এস এম সাজিদ হাসান বাবু, এ বি এম মাহমুদ আলম সরদার।

আর বৈধ ১৯ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হচ্ছেন  মো. হাসান (তানজিল হাসান), মো. জাকিরুল ইসলাম জাকির, মো. আমিনুর রহমান, মোহাম্মদ কারিমুল হাই (নাঈম), মাজেদুল ইসলাম রুমন, ডালিয়া রহমান,  শেখ আবু তাহের, শাহনেওয়াজ, সাদিকুর রহমান, কে এম সাখাওয়াত হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, মো. ইকবাল হোসেন শ্যামল, মো. জুয়েল হাওলাদার (সাইফ মাহমুদ জুয়েল), মুন্সি আনিসুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান শরিফ, শেখ মো. মশিউর রহমান রনি, মোস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা ও কাজী মাজহারুল ইসলাম।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!