• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রদলের সভাপতি হতে চায় ৪২ জন


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৮:২৯ পিএম
ছাত্রদলের সভাপতি হতে চায় ৪২ জন

ঢাকা : বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর। যাতে সারাদেশে ছাত্রদলের ১১৭টি সাংগঠনিক ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন। নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে ৪২ জন ও সাধারণ সম্পাদক হতে মনোনয়নপত্র কিনেছেন ৬৬ জন।

রোববার (১৮ আগস্ট) মনোনয়নপত্র বিক্রির শেষদিনে মোট ১০৮টি ফরম বিক্রি হয়েছে। তবে ছাত্রসংগঠনটির সভাপতি পদে কোনো নারী প্রার্থী নেই। সাধারণ সম্পাদক হতে তিন নারী মনোনয়নপত্র কিনেছেন। তারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনসুরা আলম, বদরুন্নেসা কলেজের নাদিয়া পাঠান পাবন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডালিয়া রহমান।

উল্লেখ্য, শনিবার থেকে ছাত্র নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ফরম বিক্রি শুরু হয়।

নয়া পল্টনের বিএনপি কার্যালয় রোববার সকাল থেকে পদপ্রত্যাশীদের সঙ্গে আসা কর্মী-সমর্থকদের ভিড় আর স্লোগানে মুখর ছিল।

সাবেক ছাত্রদল নেতারা জানান, প্রত্যাশার চেয়েও এবার বেশি ফরম বিক্রি হয়েছে। দ্বিতীয় দিন দুপুরে নতুন করে ফরম ছাপাতে হয়েছে। এ জন্য  বিরতি দিয়ে পরে আবারও ফরম বিক্রি শুরু করা হয়।

ছাত্রদলের সাবেক নেতারা আরো জানান, “ তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় পরিচালিত ছাত্রদলের নতুন ধারার গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সংগঠনের সব পর্যায়ে যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে, তার প্রমাণ হচ্ছে আজকে মনোনয়নপত্র এত পরিমাণ বিক্রি।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৯ ও ২০ অগাস্ট। এরপর বাছাই চলবে ২২ থেকে ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩১ অগাস্ট। তারপর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ২ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্য রাত পর্যন্ত।

ছাত্রদলের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হতে এবার বয়সের একটি শর্ত যোগ করা হলে তা নিয়ে সংগঠনটির একাংশ প্রকাশ্যে বিরোধিতায় নেমেছিল। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও ভাংচুর চালানো হয়। তখন কয়েকজনকে বহিষ্কারও করা হয় ছাত্রদল থেকে। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য সংগঠনের সাবেক নেতা খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বাছাই কমিটি এবং শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের আপিল কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত ৩ জুন ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেয় বিএনপি। এরপর ৪৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

তখন প্রার্থী হওয়ার শর্তে বলা হয়, প্রার্থীদের অবিবাহিত হতে হবে, ছাত্রদলের প্রাথমিক সদস্য হতে হবে, বাংলাদেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হতে হবে এবং কেবল ২০০০ সাল থেকে পরবর্তীতে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই প্রার্থী হতে পারবে। প্রার্থীদের ন্যূনতম স্নাতক পাসের সনদের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হবে।

ছাত্রদলের সর্বশেষ কমিটি গঠন হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর। ওই কমিটিতে সভাপতি ছিলেন রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আকরামুল হাসান।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!