• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ০১:৫৯ পিএম
ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ

ঢাকা : ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে টালমাটাল ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতা, নেতাকর্মীদের প্রত্যাশিত মূল্যায়ন না করা থেকেই মূলত এ সংকটের সৃষ্টি।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপেক্ষা, ফোন রিসিভ না করার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। রাতজাগা ও দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, কর্মসূচিতে বিলম্বে যাওয়া, প্রধান অতিথিদের বসিয়ে রাখা, জেলা সম্মেলন করতে না পারা, বিতর্কিতদের দিয়ে কমিটি গঠনের অভিযোগে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড।

এ পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশে কঠোর বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে গণভবন থেকে বেরিয়ে বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। তার সঙ্গে দেখা হয়েছে, সালাম বিনিময়ও হয়েছে। তবে কথা হয়নি।

তিনি বলেন, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে আবার গণভবনে যাব। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত কথা বলব। তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কোন বক্তব্য-বিবৃতি নেই। আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি, তারপর বক্তব্য দেব।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন থেকে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে একের পর এক অভিযোগ পড়ে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। দলের শীর্ষ নেতাদের কয়েকজনও দলীয় সভাপতির কাছে শোভন-রাব্বানীর আচরণ নিয়ে অভিযোগ তোলেন।

বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও উঠে আসে নানা অভিযোগের কথা। আনুষ্ঠানিক বৈঠকে আলোচনা হয় শীর্ষ নেতাদের অবজ্ঞা করার বিষয়টি।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ছাত্রলীগের ওপর ক্ষুব্ধ মনোভাব ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেয়ার কথা বলেন।

এ বিষয়ে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, যতক্ষণ এটা সিদ্ধান্ত আকারে না আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত এর সত্যতা আমি স্বীকার করব না।

তিনি বলেন, এখানে কোন কোন প্রসঙ্গে ক্ষোভের প্রকাশও হতে পারে বা কারও কারও রিঅ্যাকশনও আসতে পারে। কিন্তু অ্যাজ এ জেনারেল সেক্রেটারি অব দ্য পার্টি, আমার এ নিয়ে কোন মন্তব্য করা এ মুহূর্তে ঠিক হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না এটা ইমপ্লিমেন্টেশন প্রসেসে যায়। এখানে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটতে পারে, প্রতিক্রিয়া হতে পারে কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত আকারে কিছু হয়নি।

গত বছরের ১১ ও ১২ মে ২৯তম জাতীয় সম্মেলন শেষে ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে এক যুগেরও বেশি সময় একটি সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে ছিল ছাত্রলীগের কমিটি। নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ সিন্ডিকেটমুক্ত হওয়ার ধারণা তৈরি হয়। ফলে এ কমিটির প্রতি সবার প্রত্যাশা ছিল খানিকটা বেশি। কিন্তু তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড সবাইকে হতাশ করেছে। বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাও উপেক্ষা করেন তারা।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ২ সেপ্টেম্বর মাদারীপুর জেলার কালকিনী উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজের কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ।
কমিটিতে অছাত্র, বিবাহিত, নেশাখোর ও নানা কাজে বিতর্কিতদের পদ দেয়ায় আপত্তি তোলেন স্থানীয় এমপি ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। প্রমাণসহ বিতর্কিতদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরার পরও তা সুরাহা করেননি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। পরে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত গড়ালে ক্ষুব্ধ মনোভাব ব্যক্ত করেন তিনি।

কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন কমিটির নেতারা। অন্তত ১৫ দফায় প্রতিশ্রুতি দিয়েও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেননি তারা। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বেঁধে দেয়া সময় ২২ এপ্রিলের মধ্যেও কমিটি গঠন করেননি তারা। উপেক্ষিত হয়েছে আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বেঁধে দেয়া সময়ও। শেষ পর্যন্ত গত ১৩ মে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়।

৩০১ সদস্যের এ কমিটিতে হত্যা মামলার আসামি থেকে শুরু করে বিবাহিত, বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্টতা, মাদক গ্রহণ ও ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীর নাম আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর এক বছরে ১১১টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে মাত্র ২টি শাখার নতুন কমিটি হয়েছে। শাখাগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না করায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে।

এ ছাড়া জেলা কমিটি গঠন না করে কেন্দ্র থেকে কয়েকটি উপজেলা কমিটি করা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। এর ফলে সংগঠনের ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

এ ছাড়া ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ- তারা অনেক দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। নিয়মিত আসেন না মধুর ক্যান্টিনে।

কেন্দ্র থেকে যেসব কর্মসূচি দেয়া হয়, সেগুলো নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদক যা খুশি তাই করছেন।

এমনও হয়েছে- সকাল ৬টায় কোনো প্রোগ্রাম, সেটা রাত তিনটায় প্রেস রিলিজ দিয়ে জানানো হয়েছে। এর ফলে নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে না। তার কথায়, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের তো ঘুমই ভাঙে না।

এ ছাড়া দামি গাড়িতে চড়া ও বিলাসী জীবনযাপনেরও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

দাওয়াত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দুই ঘণ্টা বসিয়ে রেখে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। ২০ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন উদ্বোধন করতে গিয়ে এই বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সে সময় দুই ছাত্রনেতাকে ভর্ৎসনা করেন একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদকে প্রধান অতিথি করে আয়োজন করা ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে তাকে বসিয়ে রেখে দেরিতে আসার রেকর্ড আছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এই দুই নেতার।

এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে পৌঁছানোর পর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুষ্ঠানে যাওয়া, ছাত্রলীগের কর্মীকে প্রকাশ্যে থাপ্পড় দেয়ার মতো কর্মকাণ্ড তো আছেই।

৩০ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব গ্রহণের পর ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রথম বর্ধিত সভায় চার ঘণ্টা পর উপস্থিত হন। ফলে নির্ধারিত সময়ের অন্তত তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টা থেকে বর্ধিত সভা শুরু হয়। রাত ১২টার পরও চলে সভা। প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন কর্মসূচিতেও ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিলম্ব করে যাওয়া বা অনুপস্থিতির নজির রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মল চত্বরে পহেলা বৈশাখের কনসার্টে অগ্নিসংযোগ করে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরীর অনুসারীরা।

এর প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে ব্যাপক শোডাউন করে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাদ হোসেনের অনুসারীরা। কয়েকটি হলে শোভন অনুসারীদের কক্ষে হামলার ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ক্ষুব্ধ হন। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গণভবনে গিয়ে তার কাছে ক্ষমা চান।

এ ছাড়া ‘চমকপ্রদ’ বিভিন্ন কর্মসূচি ও পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় থাকলেও তা বাস্তবায়ন না করার অভিযোগও রয়েছে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে।

এ ছাড়া ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ নামক সার্ভিস সেন্টার চালুর ঘোষণা, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় ‘ট্রাফিক সপ্তাহ’ ঘোষণা, ‘বঙ্গবন্ধু সাইবার ব্রিগেড’ গঠন এবং সংগঠনের জন্য একটি তহবিল গঠনের ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি ছাত্রলীগ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজের সম্মেলনের দু’মাস পেরিয়ে গেলেও কমিটি দিতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি করার বিষয়ে অর্থনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিতর্কিত, বিবাহিত ও জামায়াত-বিএনপি সংশ্লিষ্টদের পদায়ন করার অভিযোগও উঠে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন বিতর্কের জন্ম দেন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। ছাত্রলীগ সভাপতি বিমানবন্দরের ‘ভিআইপি লাউঞ্জে’ কয়েকশ’ নেতাকর্মী নিয়ে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে নেতাকর্মীদের অনেকেই চলে যান টারমাকে। সেখানে উড়োজাহাজটির দরজায় গিয়েও তারা শোভনকে বিদায় জানান। ছাত্রলীগ সভাপতির এমন কর্মকাণ্ড দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় তোলে।

এদিকে দীর্ঘদিনের রেওয়াজ ভেঙে ‘জামায়াত-শিবির স্টাইল’-এর কর্মসূচি দেয়া, পোস্টার ছাপানো এবং বিতর্কিত অতিথি করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ২২ আগস্ট রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে এই কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ এ ধরনের কর্মসূচির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বর্তমান নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনা করেছেন।

ফলে তোপের মুখে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দাবি করেছেন, এই পোস্টার ও অনুষ্ঠানের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। পোস্টারটিতে রেওয়াজ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিল না।

পোস্টারের ডিজাইন ও রঙেও ছিল জামায়াত-শিবির, ইসলামী দলগুলোর পোস্টারের অনুকরণ। সেখানে হামদ-নাত পরিবেশনের শিল্পীর তালিকায় ছিল মুহিব খানের নাম। যার বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী গান পরিবেশন ও পারিবারিকভাবে বিএনপি সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

নানা অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী রোববার বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থার প্রতীক। তিনি নিজেই এ কমিটি দিয়েছেন।

এজন্য আমাদের প্রতি তার প্রত্যাশা বেশি, রাগ বেশি, ভালোবাসাও বেশি। তবে এখন থেকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকব যেন আর কোন ভুল না হয়। আমরা চেষ্টা করব ভুলগুলো শুধরে আপা যেভাবে চান সেভাবে কাজ করতে।

একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ২০ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান ছাড়া আর কোথাও দেরিতে উপস্থিত হয়েছি প্রমাণ নেই। মায়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে ফরিদপুর থেকে আসতে দেরি হয়। মাত্র ২০ থেকে ৫০ মিনিট পরে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। এজন্য সেদিন সবার কাছে দুঃখ ও ক্ষমা প্রার্থনা করি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!