• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগের সেই নেতার দায়িত্ব নিতে চান কাতার প্রবাসী


সোনালীনিউজ ডেস্ক নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ০২:৫২ পিএম
ছাত্রলীগের সেই নেতার দায়িত্ব নিতে চান কাতার প্রবাসী

ঢাকা : আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কর্মী মোতাহার হোসেন রানা।  ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিম উদ্দিন হল ও মীরসরাই থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।  ৯০-এ স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম কাতারের নেতা ছিলেন মোতাহার হোসেন রানা।

সম্প্রতি মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে পুরাতন শার্ট পরে অনেকটা অসহায়ের মতো চেয়ারে বসা মোতাহার হোসেন রানার ছবি সামাজিক যোযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।  এর পরপরই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা মোতাহার হোসেন রানার ছবি দিয়ে ফেসবুকে বেশকিছু স্ট্যাটাস দেন।  তুলে ধরেন তার দুর্দিনের কথা।

এদিকে, দলের এ নিবেদিত কর্মীর পাশে এগিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন কাতার প্রবাসী ও কাতার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা মোহাম্মদ রাজ রাজীব।

মোতাহারের পরিবারের জন্য আগামী ১০ বছর প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে দিতে চান রাজীব।  শুধু তাই নয়, ১০ বছর মেয়াদ শেষ হলে তাকে এককালীন কিছু অর্থ প্রদান করবেন বলে কাতার প্রবাসী সাংবাদিক আমিন বেপারীর কাছে জানিয়েছেন রাজীব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আল আমিনের মাধ্যমে এ টাকা প্রদান করা হবে।

ছবির এ উদভ্রান্ত, ভগ্ন শরীরের, দারিদ্র্যের ছাপযুক্ত এই মানুষটিই সেই মাঠ কাঁপানো সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রানা৷ গত ১৬ নভেম্বর ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল।...তারই ভিড়ে একাকী দর্শকের চেয়ারে পাবলিক হয়ে বসেছিলেন একসময়ের তুখোড় নেতা রানা ভাই। সভামঞ্চে তার হাতে গড়া কর্মী, সহযোদ্ধাদের অনেকেই থাকলেও কেউ তার খবর নেননি, কেউ বলেনি আপনি স্টেজে আসুন। দলের সুদিনে অতীতের এরকম একজন ত্যাগী নেতার পাশে কি আমরা দাঁড়াতে পারি না?...একজন রাজনৈতিক কর্মীর শেষ জীবনের এরকম করুণ পরিণতি আমাদের কারোরই কাম্য নয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসান মনসুর বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তার ঠিকানা সংগ্রহ করেছি। মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারের দক্ষিণ পাশে। তার তিন ছেলে, তিন মেয়ে। সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্টে আছেন।ইতিমধ্যে কিছু ফেসবুক বন্ধু তার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দু’এক দিনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করবো।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তার পাশে দাঁড়াতে চাই। কিন্তু রানার দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের বিষয়টি বঙ্গবন্ধু কন্যার নজরে আনতে হবে।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!