• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছেলেকে কিডনি দিয়ে বাঁচাতে চায় মা, বাধা শুধু অর্থ


ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯, ০৬:৪৯ পিএম
ছেলেকে কিডনি দিয়ে বাঁচাতে চায় মা, বাধা শুধু অর্থ

ছবি : সোনালীনিউজ

দিনাজপুর : ১০ মাস গর্ভে ধারণ করে জন্ম দেবার পর শত কষ্টে যে ছেলেকে তিলে তিলে মানুষ করেছে মা সেই একমাত্র ছেলের আজ দুটি কিডনি নষ্ট। জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে ছেলে। এরই মধ্যে ছেলেকে বাঁচাতে শেষ করে ফেলেছে তাদের স্থাবর-অস্থাবর। বর্তমানে এই গরিব অসহায় পরিবারে সাধ্যের বাহিরে জুলফিকারকে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে এই মরণ ব্যাধি থেকে বাঁচিয়ে তোলা।

সর্বশেষ মায়ের মমতা বসে থাকেনি, শেষ চেষ্টা হিসেবে ছেলেকে বাঁচাতে তাঁর নিজের কিডনি দিতে প্রস্তুত মা। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের দরকার ৭ লাখ টাকা যা সর্বশেষ চেষ্টার পথে বাধা। তাই বিত্তবানের সহযোগীতার মুখ চেয়ে মা।

গার্মেন্টেসে শ্রমিক সাহেদার রহমানের এক ছেলে ও এক মেয়ে, স্ত্রী নুর বানু বেগমকে নিয়ে বসবাস করেন  ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের আমড়া গ্রামে। কিডনি রোগে আক্রান্ত তার একমাত্র ছেলে জুলফিকার উপজেলার মুরারীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। জীবন শুরুর আগেই মরণব্যাধি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দুটো কিডনি নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকগণ।

ছেলেকে পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখতে জুলফিকরের দরিদ্র বাবা সাহেদার রহমান তার নিজের শেষ সম্বল বাড়ির ভিটা-মাটিটুকু বিক্রি করে চিকিৎসা করেছে। চিকিৎসকরা বলেছেন জুলফিকারের একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে। ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখতে নিজের কিডনি দিতে প্রস্তুত জুলফিকারের মা নুর বানু বেগম।

কিন্তু সেই কিডনি প্রতিস্থাপন করতে এখন অনেক টাকার প্রয়োজন। সেই টাকা কিভাবে যোগাড় হবে তা নিয়ে এখন জুলফিকারের দরিদ্র বাবা সাহেদার রহমান দুশ্চিন্তা পড়েছে। টাকা যোগাড় না করতে পারলেই চিরতরে হারাতে হবে তাদের একমাত্র বুকেরধন জুলফিকারকে।

এই জন্য জুলফিকারের বাবা-মা সমাজের বৃত্তবানদের কাছে ছেলেকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। সমাজের বিত্তবানদের সাহায্যে বেঁচে যেতে পারে ১০ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র কিশোর জুলফিকারের জীবন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!