• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছেলের বউকে বিয়ে দিলেন শ্বশুর


সোনালীনিউজ ডেস্ক আগস্ট ১৪, ২০১৯, ০৪:২৫ পিএম
ছেলের বউকে বিয়ে দিলেন শ্বশুর

ঢাকা : তাঁর মতো আর পাঁচজন ভাবেন না। শ্বশুর হয়ে কর্তব্যবোধের যে নমুনা তিনি রেখেছেন তাতে সমাজের বুকে তা দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবে। পুত্রশোক ভুলে বউমার অন্যত্র বিয়ে দিয়ে তিনি দাবি করেছেন মেয়েদের জন্য অনেক প্রকল্প থাকলেও মেয়েরা পিছিয়ে রয়েছে। 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও'-এর সঠিক নিদর্শন কোথায়। আমি চাই মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সঠিকভাবে প্রকল্প রূপায়ণ হোক।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বাড়জিশুয়া গ্রামের মুকুন্দ মাইতি। তিনি ছেলেকে হারিয়েছেন বছর দেড়েক আগে। তারপর থেকে বউমা বাড়িতে ছিল মেয়ে হয়েই। সেই কন্যাসমা বউমার বিয়ে দিয়ে নিজের কর্তব্য পালন করলেন শ্বশুর। নজির সৃষ্টি করলেন সমাজের বুকে। নিজের হাতে কন্যাদান করে বউমাকে নতুন শ্বশুরবাড়ি পাঠালেন তিনি। আবার তিনিই ঘটা করে বউভাত করলেন।

মুকুন্দ মাইতির ছেলে অমিতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ঊমার। বিয়ের কয়েকদিন পর মহীশূরে কর্মস্থলে ফিরে যান অমিত। তারপর সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে ভর্তি করেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। বিয়ের পর বছর না ঘুরতে ঘুরতেই বিধবা হতে হয় ঊমাকে। সেই থেকে মেয়ের মতোই শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন ঊমা।

মাত্র ১৯ বছর বয়স, কী হবে বউমার ভবিষ্যৎ, তা ভেবেই সারা হচ্ছিলেন মুকুন্দবাবু। গোপনে পাত্র খুঁজতে শুরু করেছিলেন। অনেক চেষ্টা করে শ্যামসুন্দরপুরের পটনা এলাকার বাসিন্দা স্বপন মাইতির খোঁজ পান তিনি। তাঁকে সবকিছু জানানোর পর ঊমাকে বিয়ে করতে রাজি হন স্বপন। পাঁশকুড়া কালী মন্দিরে তাঁদের বিয়ে হয়।

শ্বশুরের এই কর্তব্যবোধ দেখে সবাই অবাক। ছেলের মৃত্যুর শোক ভুলে কন্যাসমা বউমার জন্য যে তিনি এভাবে ভেবেছেন, তা দেখে আপ্লুত ঊমার বাপের বাড়ির লোকজন এবং স্থানীয়রাও। নিজেই তিনি সমস্ত আয়োজন করেছেন।

মুকুন্দবাবু বলেন, ওঁর সামনে পড়ে রয়েছে গোটা জীবন। তাই কষ্ট হলেও ওর মুখের দিকে চেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। না হলে সারাজীবন ওর কাটবে কী করে!

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!