• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জনতার ঢল, এরশাদের চতুর্থ জানাজা সম্পন্ন


জেলা প্রতিনিধি জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৩:০২ পিএম
জনতার ঢল, এরশাদের চতুর্থ জানাজা সম্পন্ন

রংপুর : সাবেক রাষ্ট্রপতি, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শেষ জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এরশাদকে শেষবারের মতো দেখতে লাখো জনতা উপস্থিত হয়েছেন জানাজা মাঠে। তার শেষ জানাজায় অংশ নিতে জনস্রোতে পরিণত হয়েছে রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দান।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা ২ টা ২৯ মিনিটে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় তার নামাজে জানাজা।

প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে সর্বস্তরের জনতার ঢল নেমেছে। জানাজা শেষে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এরশাদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। এরশাদের জানাজায় ইমামতি করেন রংপুর করিমিয়া নুরুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম আলহাজ মাওলানা মুহম্মদ ইদ্রিস আলী। জানাজা শুরু হয় দুপুর ২ টা ২৭ মিনিটে। শেষ হয় ২ টা ২৯ মিনিটে।

এর আগে এরশাদকে বহনকারী বিমানবাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে অবতরণ করে। পরে ১২টা ১৫ মিনিটে রংপুর ক্যান্টমেন্ট থেকে কালেক্টরেট মাঠে এরশাদের মরদেহ নেয়া হয়। সেখানে এরশাদের লাশ গ্রহণ করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাসহ নেতাকর্মীরা। সেখানে পল্লীবন্ধুর কফিন পৌঁছলে তাকে ঘিরে কান্নায় ভেঙে পড়েন দলের নেতাকর্মীরা। অনেককে চোখের পানি মুছতে দেখা গেছে। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

জানাজার আগে এরশাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া চেয়ে বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ।

এদিকে, চতুর্থ জানাজা শেষে এরশাদের লাশ রংপুরের পল্লী নিবাসে দাফন করার দাবি জানিয়ে মিছিল শুরু করেন কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় তাদের ‘পল্লীবন্ধুর সমাধি পল্লী নিবাসে হবে’ লেখা ফেস্টুন প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। রংপুর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বলছেন এরশাদের অন্তিম চাওয়া ছিল তাকে রংপুরেই দাফন করা হোক। সে জন্য পল্লী নিবাসের লিচুতলায় কবর খনন করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বলেন, জানাজা শেষে স্যারের (এরশাদ) মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে পল্লী নিবাসে। সেখানে লিচুতলায় তাকে দাফন করা হবে। এ জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এ ছাড়া রংপুরের মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা ‘যেকোনো মূল্যে’ এরশাদের মরদেহ রংপুরে রেখে দেবেন। এরশাদকে রংপুরেই দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, রোববার সকাল পৌনে ৮টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। এরপর রোববার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদে দ্বিতীয় এবং বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রংপুরে চতুর্থ জানাজা শেষে আজ তাকে দাফন করা হবে। এরশাদের ভাই জিএম কাদের জানিয়েছেন, রংপুরে নয়, এরশাদের দাফন হবে ঢাকাতেই।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!