• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জনদৃষ্টি আজ গণভবনে


বিশেষ প্রতিবেদক অক্টোবর ৩১, ২০১৮, ১০:৪৭ পিএম
জনদৃষ্টি আজ গণভবনে

ঢাকা : সপ্তাহখানেক আগেও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সংলাপের বিষয় উড়িয়ে দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সংলাপের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে ডেকেছেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে।

পরদিন শুক্রবার ডেকেছেন ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশকে।

আর এই সংলাপ এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি। সংলাপের উদ্যোগকে দেশের রাজনীতির জন্য সুবাতাস বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সংলাপের অতীত অভিজ্ঞতায় খুব আশাবাদী না হতে পারলেও তারা মনে করেন, এই সংলাপের মধ্য দিয়ে দুই পক্ষ তাদের অনমনীয় অবস্থান থেকে বেশ সরে এসেছে। রাজনৈতিক দলসহ দেশবাসীর মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।

সংলাপ নিয়ে আশাবাদী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটি চায়- সংলাপ ফলপ্রসূ হোক এবং সকলেই নির্বাচনে অংশ নিক। আওয়ামী লীগের নেতারা চান প্রতিযোগিতার মাধ্যামে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করলে এবং সরকার গঠন করলে সে সরকার নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও এখনও অধরা রাজনৈতিক সমঝোতা। কী হবে নির্বাচনে, সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, না-কি আরেকটি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন, শেখ হাসিনার অধীনে নাকি ভিন্ন ধারার সরকারের অধীনে নির্বাচন, কী হবে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার, নির্বাচনে জামায়াত ইস্যু কতটুকু গুরুত্ব পাবে- এমন সব প্রশ্নই জনমনে। এসব প্রশ্ন ঘিরে রাজনীতি ‘জট’ এবং ‘সংলাপ’ আলোচনা।

সূত্রমতে, ক্ষমতাসীন দলের অনীহা থাকলেও আলোচনার আবেদন উঠেছে সর্বমহল থেকে। দীর্ঘদিন ধরে সরকার আর বিরোধী জোটের বৈঠকের তাগিদ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মহলও। অবশেষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত সংলাপ। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

‘সংলাপ’র পাশাপাশি আলোচনা হচ্ছে এখন এর ফলাফল নিয়েও। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা রাজনীতির ‘বরফ’ সংলাপের মাধ্যমে কী গলবে, না-কি জট আরও বাঁধবে? আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে কী হতে পারে আগামীর নির্বাচনে- এমন প্রশ্নও এখন জনমনে।

সংলাপ প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সংলাপ নিয়ে আশাবাদী হওয়ার আপাতত কোনো কারণ নেই। কারণ, আমরা আগেও এমন সংলাপ দেখেছি। অর্থবহ আলোচনা হয়েছে- এমন নজির আছে বলে আমার জানা নেই। এমনকি গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও সংলাপের আলোচনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়।’

তিনি বলেন, সংলাপ ফলপ্রসূ হবে কি-না তা নির্ভর করবে অংশগ্রহণকরীদের আন্তরিকতার ওপর। যেসব এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তার অনেক কিছুই সাংবিধানিক। সংবিধান পরিবর্তনের ব্যাপার আছে। আবার অনেক বিষয় আছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জড়িত।

‘হঠাৎ সংলাপ প্রসঙ্গে সরকারের ইউটার্ন’- এমন বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আরও অপেক্ষা করতে হবে। কী হবে, তা আলোচনা থেকেই বেরিয়ে আসবে। বৈশ্বিক রাজনীতি পরিবর্তন হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশে নির্বাচন হয়েছে, তেমন প্রশ্ন ওঠেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বমহলে প্রশ্ন আছে। ধারণা করা যেতেই পারে, সরকার সংলাপের জন্য আন্তর্জাতিক মহল থেকেও অবগত হচ্ছেন।

এছাড়া এবার সংলাপ অর্থবহ না হলে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেন সাখাওয়াত হোসেন।

তবে সংলাপের ব্যাপারে আশাবাদী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘জনগণ ক্ষমতার মালিক। কিন্তু রাজনীতির মধ্য দিয়েই জনগণকে ক্ষমতাবঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। আমরা জনগণের রাষ্ট্র জনগণকে ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছি। এ আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

সংলাপের ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি আর লক্ষ্য ঘোষণা করেছি। সময় বদলে গেছে। মানুষ এখন হিংসার রাজনীতি করতে চায় না। এই উপলব্ধি থেকে ক্ষমতাসীন দল সংলাপে ইতিবাচক সাড়া দেবে বলে আমি মনে করি।’

একই প্রসঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির নামে রাষ্ট্র, সমাজে যে দুঃশাসন চলছে, তা থেকে মুক্তি পেতে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। সংলাপ সময়ের দাবি। আমরা দীর্ঘদিন থেকেই সংলাপের দাবি জানিয়ে আসছি। মানুষের মুক্তির জন্য জাতীয় ঐক্যের কথা আমরাও বলে আসছি। সরকার কর্ণপাত করেনি। বৃহস্পতিবার কী আলোচনা হয়, তা দেখার অপেক্ষা।’

সংলাপের ফলাফল প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘রুটি ভাগাভাগির জন্যও সংলাপ হতে পারে। আমরা ইতোপূর্বে বহু সংলাপ, আলোচনা দেখেছি। তাতে গণমানুষের লাভ হয়নি। বরং বৈষম্য বেড়েছে। সংলাপের স্বার্থকতা নির্ভর করে মূলত ক্ষমতাসীনদের আন্তরিকতার ওপর। সরকার চাইলে একদিনের মধ্যেই চলমান সংকট নিরসন করতে পারে।’

সংলাপের মাধ্যমে সঙ্কটের সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংলাপের উত্তাপে সঙ্কটের বরফ গলবেই। তারা যেটিকে সঙ্কট বলছে, আমরা সেটিকে সঙ্কট মনে করি না। আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে অনেক সঙ্কটই সমাধান হয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সরকারি দলের সংলাপে খোলামেলা আলোচনা হবে। ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি ও ১১ লক্ষ্য আলোচনার টেবিলে তোলা হবে। আলোচনার টেবিলেই সিদ্ধান্ত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট সংলাপের আয়োজনের বিষয়টি ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’ এবং ‘অসাধারণ অর্জন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। প্রায় চার বছর বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন শেষে মঙ্গলবার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের বিষয়টি কোনো একজন রাজনৈতিক নেতা বা কোনো একটি দলের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিৎ নয়।

তিনি বলেন, সংলাপের বিষয়টি কেবল দলের উচ্চপর্যায়ের ভেতরে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয় নয়, বরং দলের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ এবং সারাদেশে জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়টি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

সংকটের সমস্যা সংকট দিয়ে নয়, সংলাপ দিয়েই হয় বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা বাতাসের দোলা। তবে আমাদের সংশয় হচ্ছে এই বাতাসটি কতদিন, কতক্ষণ বহমান থাকবে? কারণ, অতীত অভিজ্ঞতা আমাদের সংলাপের সফলতার কথা বলে না।

অবশ্য এর অর্থ এই নয় যে এবারের সংলাপও সফল হবে না। আমরা প্রত্যাশা করি সংলাপ সফল হোক এবং নির্বাচনমুখী একটি পরিবেশ সৃষ্টি হোক। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক। যদি দুই পক্ষ ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসে তাহলে অবশ্যই ভালো কিছু হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সংলাপকে প্রত্যাশিত ও অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘সংলাপের ফলে দুটি দলের মধ্যকার দূরত্ব কিছুটা কমেছে। যেভাবে দুই পক্ষ অনমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল, তাতে দেশটা সংঘাত ও অচলবস্থার দিকে যাচ্ছিল, সেখানে সংলাপ আশার আলো দেখাচ্ছে।’

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেফারুজ্জামান বলেন, ‘সংলাপের তথ্যটি আমাদের জন্য খুবই ইতিবাচক সংবাদ। দেশবাসীর এর থেকে অনেক কিছুই আশা করতে পারেন।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মিজানুর রহমান শেলী বলেন, ‘সংলাপের এই উদ্যোগ অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক কথা । বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতি পরিস্থিতিতে একটা অস্থিতিশীলতা রয়েছে। সন্দেহ, সংশয়, ভীতি এবং অনিশ্চয়তা দুইপক্ষের মধ্যেই। যেখানে কোন কিছুর আশা নাই বলে মনে হচ্ছিল। এর মধ্যে হঠাৎ সংলাপের প্রসঙ্গ আসায় দমবন্ধ করা রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের আশা আমরা করতেই পারি।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, ‘সংলাপের আয়োজনটাই রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক দিক। আমি ব্যক্তিগতভাবে আশাবাদী। তারা কিছু বিষয়ে ছাড় দিলে অবশ্যই সংলাপ ফলপ্রসূ হবে।’

সংলাপে আ. লীগসহ ১৪ দলের ২১ নেতা অংশ নেবেন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এতে আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের পাশাপাশি দলটির নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতারাও থাকবেন।

ক্ষমতাসীন জোটটির পক্ষে ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঐক্যফ্রন্টের ১৬ নেতার সঙ্গে কথা বলবেন। গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সংলাপে উপস্থিত থাকবেন।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্লাহ এবং ড. আব্দুর রাজ্জাক সংলাপে অংশ নেবেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপুমনি, আব্দুর রহমান, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং আইন সম্পাদক শ. ম. রেজাউল করিমও উপস্থিত থাকবেন। ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদ একাংশের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাসদ আরেক অংশের কার্যকরী সভাপতি মাঈনুদ্দিন খান বাদল সংলাপে অংশ নেবেন।

সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের যারা থাকছেন : গণভবনের সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলের দলনেতা হিসেবে থাকবেন ড. কামাল হোসেন। বিএনপি থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস।

নাগরিক ঐক্য থেকে থাকবেন মাহমুদুর রহমান মান্না ও এস এম আকরাম। গণফোরাম থেকে মোস্তফা মহসিন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী। জেএসডি থেকে আ স ম আব্দুর রব, আব্দুল মালেক রতন ও তানিয়া রব। ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, আ ব ম মোস্তফা আমিন ও স্বতন্ত্র হিসেবে থাকবেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!