• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘জন্মদিনে কলকাতায় একান্তে দুদিন কাটাব’


বিনোদন প্রতিবেদক নভেম্বর ১৭, ২০১৮, ০২:০২ পিএম
‘জন্মদিনে কলকাতায়  একান্তে দুদিন কাটাব’

কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা ও নায়ক আলমগীর

ঢাকা: ‘কলকাতা আমার খুব প্রাণের একটা শহর। ওখানে গেলে মনে হয় না নিজের বাড়ির বাইরে কোথাও আছি। এটাকে আমার সেকেন্ড হোম মনে হয়। জন্মদিনে কলকাতায় আমরা একান্তে দুদিন সময় কাটাব’। জানালেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা।

‘গোয়িং টু মাই সেকেন্ড হোম, কলকাতা টু সেলিব্রেট মাই বার্থডে’, নিজের ফেসবুকে এমনটাই লিখলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা রুনা লায়লা। কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটার পর ফেসবুকে লিখেছেন তিনি। আগামীকাল ১৭ নভেম্বর বরেণ্য এই শিল্পীর ৬৬তম জন্মবার্ষিকী। রুনা লায়লাকে এবারের জন্মদিনে তাঁর স্বামী বাংলাদেশের বরেণ্য চিত্রনায়ক আলমগীর ট্রিট দিচ্ছেন।

৫৩ বছরের সংগীতজীবনে হাতেগোনা কয়েকবার দেশের বাইরে জন্মদিন পালন করেছেন রুনা লায়লা। এর মধ্যে ২০১৫ সালে লন্ডনে আর দুবার ভারতে। রুনা লায়লা বলেন, ‘আমি বরাবরই জন্মদিনটা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করি। এবারও তেমনটাই হচ্ছে। দেশের বাইরে হওয়ার কারণে স্বামী ছাড়া অন্যদের মিস করব।’

পাঁচ দশকের দীর্ঘ সংগীতজীবনে ১৭ ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন রুনা লায়লা। অর্জন করেছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা। বাংলা ছাড়া রুনা লায়লা উর্দু, হিন্দি আর ইংরেজি ভাষা জানেন। তবে বাংলা, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, গুজরাটি, পশতু, বেলুচি, আরবি, পারসিয়ান, মালয়, নেপালি, জাপানি, ইতালিয়ান, স্পেনিশ, ফ্রেঞ্চ ও ইংরেজি ভাষায় গান করেছেন তিনি।

আলমগীর ও রুনা লায়লা

কলকাতায় নিজেদের মতো করে জন্মদিন উদযাপন শেষে ১৯ নভেম্বর ঢাকায় ফিরবেন তাঁরা। চলচ্চিত্র ও গানের জগতে আলমগীর ও রুনা লায়লার ব্যস্ততা এখনো আগের মতোই। জন্মদিনে একেবারে নিজেদের মতো করে কাটাতে চান বলে পাশের দেশ ভারতের কলকাতাকে পছন্দ করেছেন রুনা। 
গানের জনপ্রিয়তায় কলকাতায়ও রয়েছে রুনা লায়লার অনেক বন্ধু, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী। তবে জন্মদিনে তাঁদের কাউকে পাওয়া যাবে না বলে জানালেন রুনা লায়লা। বললেন, ‘এটা একেবারে আমাদের ব্যক্তিগত ট্যুর। আলমগীর সাহেব জন্মদিনে ট্রিট দিয়েছেন। আমরা একান্তে দুদিন সময় কাটাব, এই।’

বাংলাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা রুনা লায়লা ভারতের গানবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’য় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই সময়টাতে জন্মদিন পড়ে যাওয়ায় আয়োজক কর্তৃপক্ষ শুরুতে শুটিং সেটে এবং পরে একটি রেস্তোরাঁয় রুনা লায়লার জন্মদিন উদযাপন করেন।

উর্দু ছবি ‘জুগনু’তে রুনা লায়লা গান গেয়েছেন ১৯৬৫ সালের জুন মাসে। এরপর তিনি গেয়েছেন হাজার দশেক গান। অর্জন করেছে স্বাধীনতা পদক। দেশ-বিদেশে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ছয়বার। রুনা বললেন, ‘যত দিন ভালো গাইতে পারব, তত দিন গান গাইব। নিজে মনে করব যে এখনো গাইতে পারছি, সুর নড়ছে না, বেসুরো হচ্ছে না, কণ্ঠ কাঁপছে না, তত দিন গান করব। যখন মনে হবে এখন আর হচ্ছে না, তখন গান ছেড়ে দেব।’

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। তাঁর বাবার নাম এমদাদ আলী ও মায়ের নাম আমিনা আলী। বাংলাদেশের সংগীতের কিংবদন্তি এই শিল্পী চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সংগীতের জন্য বিখ্যাত। দেশের বাইরে গজল গায়িকা হিসেবেও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তাঁর সুনাম আছে। এ ছাড়া ভারত ও পাকিস্তানের অনেক চলচ্চিত্রের গানেও তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!