• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জন্মদিনে বিরল আড্ডায় মাতলেন ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ২, ২০২০, ০২:৩৭ পিএম
জন্মদিনে বিরল আড্ডায় মাতলেন ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ

ঢাকা : করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়েই জন্মদিন উদযাপন করলেন অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। আর সেই আড্ডায় তিনি মেতে উঠেছেন পুরনো দিনের তিন বন্ধুর সঙ্গে। বুধবার (১ জুলাই) বিকেলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টার জন্মদিনে, তার গুলশানের বাসায় হাজির হন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের তিন বন্ধু বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক কামাল আহমেদ। বিরল এই আড্ডার অভিজ্ঞতা ফেসবুকে শেয়ার করেছেন ৭২ বছর পূর্ণ করা অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। চার বন্ধুর এই আড্ডা চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা।

তিনি লিখেছেন, ‘এত বছর পর এই প্রথম বোধহয় শুধু আমরা চারজন একসাথে বসে আড্ডা দিলাম, আমার বাসায় আমার জন্মদিন উপলক্ষে। হয়তো এই অস্বাভাবিক ঘরবন্দী সময়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও অতীতে ফিরে যেতে চেয়েছি।’

‘উনিশশো পঁয়ষট্টি সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এক রুমে উঠলাম আমরা চারজন। অনেকটাই একই বামপন্থি ছাত্র রাজনীতি করার সুবাদে।

‘এর মধ্যে দুজনের সাথে ঢাকা কলেজের হোস্টেলে থাকার সময় থেকেই আমার বন্ধুত্ব। আমি সে বছর হল সংসদে সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই, পরবর্তীতে তখনকার এনএসএফ নামের আইয়ুবপন্থি ছাত্র সংগঠনের বাহিনী অন্তত দুবার আমাদের ঘরটিকে আক্রমণ করে তছনছ করে দিয়েছিল।’

বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে চার বন্ধুর জীবনের পথ যে ভিন্ন ভিন্ন দিকে এগিয়েছে, সে কথাও তিনি তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন। আড্ডায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দিনগুলোর স্মৃতিও ফিরিয়ে এনেছেন অর্থনীতির এই সাবেক ছাত্র, যিনি পরে কেমব্রিজ ও লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিক্সেও পড়েছেন।

উল্লেখ্য, ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের জন্ম ১৯৪৮ সালে নোয়াখালীর চাটখিলে। ১৯৬৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ছিলেন ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।

বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করা এই অর্থনীতিবিদ সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন সময়ে। তার স্ত্রী সীমিন মাহমুদ ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) প্রধান গবেষক। ২০১৮ সালে মারা গেছেন তিনি।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!