• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
রেনু হত্যা

জবানবন্দি শেষে রিয়া-হৃদয় কারাগারে


আদালত প্রতিবেদক জুলাই ২৭, ২০১৯, ১২:১০ এএম
জবানবন্দি শেষে রিয়া-হৃদয় কারাগারে

ঢাকা : রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার আগে ‘ছেলেধরা’ গুজব সৃষ্টিকারী রিয়া খাতুন ও প্রধান অভিযুক্ত ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) হৃদয় ও রিয়া জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার পরিদর্শক মো. আব্দুর রাজ্জাক। আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেন তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সাঁতারকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে রেনু হত্যার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মোছা. রিয়া বেগম ওরফে ময়নাকে (২৭) গ্রেপ্তার করে বাড্ডা থানা পুলিশ।

গত মঙ্গলবার রাতে হৃদয়কে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। ৩০ জুলাই তাকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করার কথা ছিল। তবে তৃতীয় দিনে তিনি দোষ স্বীকার করতে রাজি হন তিনি। পরে তাকে আদালতে তোলা হয়।

এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ, বাড্ডা ও উত্তর বাড্ডা এলাকা থেকে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি’র বাড্ডা থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।

শনিবার সকালে উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে (৪০) পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয়রা। ঘটনার দিন তাসলিমা তার সন্তানের ভর্তির ব্যপারে স্কুলে যায়। সেখানে গিয়ে তিনি অভিভাবক রিয়া বেগমকে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞাসা করে।

এক পর্যায়ে তিনি ওই অভিভাবকের বাসার ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। এতে রিয়া বেগম সন্দেহ করে তাসলিমাকে ছেলেধরা বলে চিৎকার করে। চিৎকার শুনে অতি উৎসাহী জনতা তসলিমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!