জরুরি বৈঠকে বসছেন ঐক্যফ্রন্ট

ঢাকা: জরুরি বৈঠকে বসছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে বৈঠকে বসছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল চেম্বারে ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এ তথ্য জানিয়েছেন। বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বর্তমান অবৈধ সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে জনগণকে পেঁয়াজ খেতে নিষেধ করছে। তাহলে চালের দাম বাড়লেও কি জনগণকে তারা ভাত খেতে নিষেধ করবেন? এমন প্রশ্ন করেন। 

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারকে এ প্রশ্ন করেন। 

সরকারের দায়িত্ব জিনিসপত্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। কে কী খাবে না খাবে তা নির্ধারণ করে দেয়া নয় জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে জনগণকে পেঁয়াজ খেতে নিষেধ করছে। তাহলে চালের মূল্য কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা, আটার মূল্য ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে তারা এখন কী বলবেন!

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিতে? রুটি খাওয়া বন্ধ করে দিতে? ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, সুতরাং তেল খাওয়াও কি বন্ধ করে দিতে হবে?’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। পেঁয়াজ, চাল, ডাল, তেল, লবণ থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।

তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজের ঝাঁজ এখন চাল, ডাল, লবণ, তেল, আদা, রসুন শুরু করে শীতকালীন সব সবজিতে সংক্রমিত হয়েছে। সব জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গত মাস কয়েক যাবৎ আমরা কথা বলছি। দেশের গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিদিন রিপোর্ট বের হচ্ছে। সরকার প্রধান নিজেও ‘পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে, আর কোনো সমস্যা নাই’ বলেই এয়ার শো দেখতে দুবাই থেকে ইডেনে গার্ডেন হয়ে এখন আবার মাদ্রিদ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এবার বিদ্যুতের দাম বাড়লেই রাজপথে কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ তবে কী ধরণের কর্মসূচি দেওয়া হবে, সেটি পরিষ্কার করেননি বিএনপির মহাসচিব।

এদিন সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ