• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জলপাইয়ের লোভ দেখিয়ে ৪ শিশুকে ধর্ষণ


বগুড়া প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯, ০৭:২৬ পিএম
জলপাইয়ের লোভ দেখিয়ে ৪ শিশুকে ধর্ষণ

বগুড়া: জলপাই খায়ানোর লোভ দেখিয়ে ৪ শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগে জয়নাল আবেদীন (৫২) নামে এক ভ্যান চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জয়নাল আবেদীন উপজেলার গোপালপুর খাদুলী গ্রামের ফজর আলীর ছেলে। একই সময় ধর্ষনের শিকার অসুস্থ ৪ শিশু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  

থানা পুলিশ জানা যায়, তিন সন্তানের জনক জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী জীবিকার তাগিদে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি করে। জয়নাল আবেদীন বাড়িতে থেকে এলাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। ধর্ষনের শিকার ৪ শিশু শিক্ষার্থী জয়নালের প্রতিবেশী। তারা জয়নালের দুরসম্পর্কের নাতনি। হতদরিদ্র পরিবারের ৪ শিশুর মধ্যে ২জন তৃতীয় শ্রেণীর এবং ২জন প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। অন্যান্য দিনের ন্যায় শুক্রবার দুপুরের দিকে তৃতীয় শ্রেণীর ২ ছাত্রী জয়নালের বাড়িতে জলপাই কুড়াতে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে জয়নাল ২ শিশুকে জলপাই খাওয়ানের লোভ দেখিয়ে ঘরের ভেতর নিয়ে যায়। এরপর পর্যায়ক্রমে ২ শিশুকে ধর্ষন করে। রবিবার দুপুরের দিকে প্রথম শ্রেণীর ২ছাত্রী জয়নালের বাড়িতে জলপাই কুড়াতে যায়। এসময় একই কৌশলে ২ শিশুকে ধর্ষন করে জয়নাল।

পরবর্তীতে এ ঘটনার কথা ৪শিশু তাদের মা-বাবাকে জানায়। অভিভাবকরা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট বিচার প্রার্থী হয়। পরে চেয়ারম্যানের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে জয়নাল আবেদীনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষনের শিকার ২ শিশুর বাবা বাদী হয়ে সিরিয়াল ধর্ষক জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

থানা হাজতে অটক জয়নাল আবেদীন বলেন, চার শিশু আমার নিকট বাসর রাতে যৌন মিলনের কৌশল শিখতে চেয়েছিল। তাই আমি তাদের বিবস্ত্র করে যৌন মিলনের প্রশিক্ষন দিয়েছি। জোর পূর্বক তাদের ধর্ষন করা হয়নি। তবে যৌন মিলনের কৌশল শেখাতে গিয়ে তারা সামান্য ব্যাথা পেয়েছে।  

ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অংকিতা রব চৈতি বলেন, প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় চার শিশুর যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে।  

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। চার শিশুকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জয়নালের বিরুদ্ধে থানায় ২টি মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার ৪ শিশুর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সিরিয়াল ধর্ষকে আদলতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!