• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জহুরুলের ব্যাটে মোহামেডানকে উড়িয়ে দিল আবাহনী


ক্রীড়া প্রতিবেদক মার্চ ২৫, ২০১৯, ০৬:৩৪ পিএম
জহুরুলের ব্যাটে মোহামেডানকে উড়িয়ে দিল আবাহনী

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আবাহনী-মোহামেডান মহারণ এখন শুধু সংবাদমাধ্যমে। বাস্তবে মাঠে দর্শকের ছিটেফোঁটাও নেই। সোমবার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ হয়ে গেল। কিন্তু এ নিয়ে দর্শকের কোনোই আগ্রহ নেই। গোটা গ্যালারি মিলে ১০০ দর্শকও হয়নি। দর্শকহীন ম্যাচে আবাহনী খুব সহজেই মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রকিবুল হাসান, ইরফান শুক্কুরের ফিফটিতে মাঝারি সংগ্রহ পেয়েছিল মোহামেডান। আবাহনীর শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ ওই রান তুলেছে অনায়াসে। দলকে জেতাতে সবচেয়ে বড় অবদান ওপেনার জহুরুল ইসলামের।

আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ অনেক আগেই নিভে গেছে। দর্শকদের আগ্রহ কমলেও মাঠের লড়াইয়ে তাও হতো উত্তেজনা। কিন্তু গেলবারের মতো এবারও মাঠের লড়াইও হয়েছে একপেশে। সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোহামেডানের করা ২৪৮ রান ১৫ বল হাতে রেখে  ৬ উইকেটে জিতেছে আবাহনী।

এই নিয়ে ছয় ম্যাচের মধ্যেই পাঁচটিতে জিতে শীর্ষেই রইল আবাহনী। আর মোহামেডান দেখল টানা তৃতীয় হার।  

২৪৯ রানের লক্ষ্যে নেমে দুই ওপেনার জহুরুল আর সৌম্য সরকার দলকে পাইয়ে দেন দারুণ শুরু। ২০তম ওভারে দলের ১০৫ রানে গিয়ে ভাঙে এই জুটি। ৫৪ বলে পাঁচ চার আর ১ ছক্কায় ৪৩ করা সৌম্যকে বোল্ড করে ফেরান শাহাদাত হোসেন।

ভারতীয় ওয়াসিম জাফরকে নিয়ে এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৬৯ রানের আরেক জুটিতে মোহামেডানের সম্ভাবনা একদম মিইয়ে দেন জহুরুল। ৩৮ রান করা জাফরকে শফিউল আউট করলেও জহুরুল হাঁটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ১৩১ বলে ঠান্ডা মাথায় খেলা তার ৯৬ রানের ইনিংস শেষ হয়েছে শাহাদাতের বলে বোল্ড হয়ে।

সকালে টসে জিতে মোহামেডানকে ব্যাট করতে পাঠায় আবাহনী। এই ম্যাচ দিয়েই নিউজিল্যান্ড সফর পরে মাঠে ফেরা লিটন দাস আব্দুল মজিদকে নিয়ে সাবধানী শুরু করেন। উঁচুনিচু বাউন্স আর মন্থর উইকেটে বেশ জড়োসড়ো হয়ে থাকেন তারা। ১৩তম ওভারে গিয়ে ভাঙে তাদের ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি। নাজমুল ইসলাম অপুর বলে ২৭ রান করে ফেরেন লিটন।

আরেক ওপেনার মজিদ আরও কিছুক্ষণ টিকলেও তিনি ছিলেন বেশ শ্লথ। তৃতীয় উইকেটে মোহামেডান প্রায় পায় শুক্কুর আর রকিবুলের ব্যাটে। দুজনেই দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন লড়াইয়ের দিকে। ৫৭ রান করা শুক্কুরকে বোল্ড করে ৬৮ রানের সে জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ সাইফদ্দিন। ফিফটির পর থামেন রকিবুলও।

শেষ দিকে চতুরঙ্গ ডি সিলভা ২৪ বলে ৩২ আর সোহাগ গাজী ২০ বলে ২৭ করলে আড়াইশ কাছে যেতে পারে মোহামেডান।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!