• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৯, ২০২০, ০৬:৪৫ পিএম
জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়

ঢাকা : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব অবিস্মরণীয় ছিল বলে মনে করেন।

তিনি বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়।  তিনি সব সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান নিতেন। মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে তাঁর অনবদ্য অবদানের কথা আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

শুক্রবার (২৯ মে) আগামীকাল ৩০ মে জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ও তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে এবং উৎপাদন ও অগ্রগতি তরান্বিত করতে তার প্রবর্তিত কালজয়ী দর্শন ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ ও তার অবিনাশী আদর্শ এদেশের মানুষকে উদ্দীপ্ত করে।

স্বাধীনতার পর মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়। জিয়াউর রহমান ফিরিয়ে দেন বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্র ও নাগরিক স্বাধীনতা। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা দেন। উৎপাদনের রাজনীতির মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির আখ্যা থেকে খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে পরিণত করেন, যোগ করেন ফখরুল।

তিনি বলেন, এ মহান নেতার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। এ চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এ মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে একজন মহান দেশ প্রেমিককে হারায় দেশবাসী। তবে চক্রান্তকারীরা যতই চেষ্টা করুক, কোনো ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ককে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলেই তিনি বিস্মৃত হন না বরং নিজ দেশের জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরুক হয়ে অবস্থান করেন। জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে জিয়াউর রহমানের প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থ, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাত কঠিন গণঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

বর্তমান সরকার দেশে একদলীয় সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনের নির্মমতা চারিদিকে বিদ্যমান। বিরোধী দলের অধিকার, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে বর্তমান সরকার। সেজন্য গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছিল। এখন তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তার নামে করা মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার করে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে, যোগ করেন ফখরুল।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী চলছে অদৃশ্য দানব করোনা মহামারির তাণ্ডব। ইতোমধ্যে তিন লক্ষাধিক মানুষ এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছে, আর আক্রান্ত হচ্ছে ৫০ লক্ষাধিক মানুষ। এখন গভীর আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রচিত হচ্ছে দিনযাপনের মানবিক কাহিনী। আমাদের সবাইকে এ সম্পর্কে সচেতন থেকে করোনার হাত থেকে বাঁচতে আজ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে পানাহ চাই।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!