• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রস্তাব উঠছে মন্ত্রিসভা কমিটিতে

জাতীয়ভাবে পালিত হবে নবান্ন উৎসব


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ৮, ২০১৮, ১২:৫৪ পিএম
জাতীয়ভাবে পালিত হবে নবান্ন উৎসব

ঢাকা : এখন থেকে পহেলা বৈশাখের মতো ‘নবান্ন’ও জাতীয়ভাবে পালন করা হবে। অগ্রহায়ণ মাসের ১ তারিখকে (১৫ নভেম্বর) জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নবান্ন উৎসব পালনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে সরকার।

সোমবার (৯ এপ্রিল)  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে এটি অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্ত্রিসভা কমিটিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উত্থাপিত হচ্ছে প্রস্তাবটি। প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে এ উৎসব পালনে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি টাকা। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান বলেন, নবান্ন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শস্যভিত্তিক লোকজ উৎসব। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে পাকা আমন ধান কাটার পর এটি উদযাপিত হয়। একসময় অত্যন্ত সাড়ম্বরে নবান্ন উৎসব পালিত হতো। সব সম্প্রদায়ের উৎসব হিসেবে নবান্ন সমাদৃত ছিল।

তিনি আরো বলেন, এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের জন্য জাতীয় পর্যায়ের দিবস বা উৎসব উদযাপনের তালিকায় নবান্নকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত বা অনাপত্তি জ্ঞাপনের জন্য সব মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় নবান্ন উৎসব পালনে অনাপত্তি জানিয়েছে।

২০১৫ সালের অক্টোবরে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সব জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো চিঠিতে নবান্ন উৎসব উদযাপনে সমন্বিত কর্মসূচি প্রণয়নের প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। চিঠিতে এই উৎসব উদযাপনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বস্তরের লোকজনকে সম্পৃক্ত করতেও বলা হয়েছিল।

জেলা প্রশাসকদের কাছে থেকে এ ব্যাপারে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। পরবর্তীতে প্রাপ্ত প্রস্তাবনাগুলোর আলোকে আনন্দমুখর পরিবেশে নবান্ন উদযাপনে সব জেলা প্রশাসককে উপানুষ্ঠানিক পত্র পাঠানো হয়। এটির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবরও পাঠানো হয়। এরপর মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশে ২০১৫ সালে দেশব্যাপী নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়।

বাংলার কৃষিজীবী সমাজে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব উদযাপিত হয় নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম। ‘নবান্ন’ অর্থ ‘নতুন অন্ন’। নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে উৎসবটি উদযাপিত হয়।

এ উপলক্ষে একসময় বাংলার ঘরে ঘরে পিঠা-পায়েসের ধুম পড়ে যেত। হিন্দু রীতিতে নবান্ন উপলক্ষে পূজার আয়োজনও করা হয়। সম্প্রদায়টির লোকজন নবান্ন অনুষ্ঠানে পিতৃপুরুষ, দেবতা, কাক প্রমুখকে নতুন অন্ন উৎসর্গ করেন। এ ছাড়া বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনকেও খাওয়ানো হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে রাজধানীতে নবান্ন উৎসব উদযাপন শুরু করে কয়েকটি সংগঠন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!