• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জাপা ক্ষমতায় গেলে নূর হোসেন ও ডা. মিলন হত্যার বিচার হবে


নিজস্ব প্রতিনিধি নভেম্বর ১০, ২০১৯, ০৮:২৮ পিএম
জাপা ক্ষমতায় গেলে নূর হোসেন ও ডা. মিলন হত্যার বিচার হবে

ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, নূর হোসেন ও ডাক্তার মিলনকে কারা হত্যা করেছে, কেন হত্যা করেছে এবং কিভাবে হত্যা করেছে, তা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। নূর হোসেন ও ডা. মিলন হত্যার ইস্যু তুলে দেশের মানুষকে বারবার বিভ্রান্ত করা হয়। আমাদের নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে অপবাদ দেওয়া হয়। এর একটা সমাধান জরুরি হয়ে পড়েছে। জাতীয় পার্টি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে নূর হোসেন ও ডাক্তার মিলনসহ ষড়যন্ত্রমূলক সব হত্যার বিচার করা হবে।

রোবাবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিস মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তরের আয়োজনে ‘গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নব্বইয়ে স্বৈরাচার হটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে প্রাণ উৎসর্গ করা নূর হোসেন ও ডা. মিলনের হত্যাকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে অপবাদ দেওয়া হয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির । দল ক্ষমতায় গেলে তাই এসব হত্যার বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

জাতীয় সংসদের এই বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, গণতন্ত্রের অর্থ হচ্ছে দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন। কিন্তু এখন উল্টে গেছে সবকিছু। এখন চলছে দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন। গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা থাকলে দেশে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ বেকার থাকতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা ন্যায় বিচারভিত্তিক সমাজব্যবস্থা চালু করব। আমাদের নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সারাজীবন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কাজ করেছেন। গণতন্ত্রের পথে অবিচল ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাপা চেয়ারম্যান বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর সামরিক শাসন তুলে দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারপর থেকেই কাঠামোগত গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। তবে গণতান্ত্রিক চর্চা ব্যহত হয়েছে বারবার। তিনি বলেন, এখন প্রতিদিনই দুর্নীতি, গুম, খুন ও সন্ত্রাস অব্যাহতভাবেই বেড়ে চলেছে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, দেশের গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে। যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নুসরাতকে হত্যা করা হয়, বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়, একজন অধ্যক্ষকে ছাত্ররা পানিতে ফেলে দেয়, আমরা সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাই না। ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, এখন আর সেই গণতন্ত্র নেই।

জাপা মহাসচিব আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টির সমর্থনে ২১ বছর পরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করে। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন লেভেলের কর্মীরাও স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাদের হুমকি-ধমকি দেয়। এখন সোনার ছেলেদের ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির ইতিহাস বের হচ্ছে। কিন্তু এতদিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সোনার ছেলেদের দেখেনি, তাদের দৃষ্টি ছিল শুধু রাজনৈতিক নেতাদের দিকে।

রাঙ্গা বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাদকাসক্ত নূর হোসেনকে পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমপি-মন্ত্রীদের বাড়ি ডাকাত ও খুনিদের আশ্রয়স্থল হয়েছিল বলেই রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার দেশকে বাঁচাতে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দায়িত্ব অর্পণ করেন। এরশাদ ছিলেন গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক।

গণতন্ত্র দিবসের আলোচনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, যুগ্ম মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদা, শ্রমিক পার্টির সভাপতি এ কে এম আশরাফুজ্জামান খানসহ অন্যরা।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!