• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাবি শিক্ষার্থীদের হামলায় জ্ঞান হারাল ইবির বাস্কেটবল খেলোয়াড়


ক্রীড়া প্রতিবেদক এপ্রিল ১০, ২০১৯, ০৯:২৮ পিএম
জাবি শিক্ষার্থীদের হামলায় জ্ঞান হারাল ইবির বাস্কেটবল খেলোয়াড়

ফাইল ছবি

ঢাকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) হ্যান্ডবল খেলতে এসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হ্যান্ডবল দলের ১২ জন খেলোয়াড়সহ ৩ শিক্ষক মারধরের শিকার হয়েছেন জাবি শিক্ষার্থীদের হাতে। এতে ৪ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার বিকালে জাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার ঘটনায় ইবির সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ক্রীড়া বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহলেসহ ৯ জন খেলোয়াড় গুরুতর আহত হয়েছে। এদের মধ্যে হাত ও কোমর ভেঙে রাব্বি ও ইমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ছাড়া ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়েছেন এক খেলোয়াড়। আহতরা হলেন আশিক, ইমন, শিমুল, রাব্বি, সাকিব, রিদয়, সালমান, জাকারিয়া, দিপন, শোভন, সালফি, সৌরভ। আহতদের সাভার এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন আলো ও আবুহেনা মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক আবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়া ও জাবিকে সকল প্রকার খেলা থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি করে।

পরে সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরের অনুরোধে ও যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার বিকাল ৪টায় জাবির মাঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শুরু থেকেই আক্রমাত্মক ছিলো জাবি দলের খেলোয়াড় ও দর্শকরা। খেলায় ইবি তিন পয়েন্টে এগিয়ে গেলে উপর্যপুরি ফাউল করতে থাকে জাবির খেলোয়াড়রা। একপর্যায়ে ইবির খেলোয়াড়রা ফাউল আবেদন করলে তাদের ওপর চড়াও হয় জাবি খেলোয়াড়রা।

একই সময় মাঠে ঢুকে পড়ে জাবির দর্শকরা। তারা খেলোয়াড়দের উপর হামলা শুরু করে। এ সময় তারা রড, লাঠি সোডা দিয়ে আঘাত করে খেলোয়াড়দের। এসময় ইবির শিক্ষক কোচ ও কর্মকর্তারা তাদের ঠেকাতে গেলে তাদের ওপরও হামলা করে সন্ত্রসীরা।

হামলার শিকার ইবির সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, খেলায় নূন্যতম নিরাপত্তা ছিল না। তারা আমাদের খেলোয়াড়দের ওপর হামলা করলে আমরা যখন থামাতে যায় তারা আমাদের ওপরও হামলা করে। শিক্ষক পরিচয় দিলেও তারা হামলা থামায়নি।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। আমার কাছে একটি ভিডিও ফুটেজ আছে। এ ফুটেজ থেকে চিহ্নিত করে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ইউজিসি ও শিক্ষ মন্ত্রণালয়ের নিকট বিচার দাবি করছি। সেই সঙ্গে জাবিকে সকল প্রকার খেলাধুলা থেকে কালো তালিকায় রাখার দাবি জানাচ্ছি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!