• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাবির সাবেক ভিসিকে মাভাবিপ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি!


জাবি প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯, ০৬:০৪ পিএম
জাবির সাবেক ভিসিকে মাভাবিপ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি!

জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্ষদ ও কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

গত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সর্বস্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত সভার একটি কার্যবিবরণী তালিকা থেকে এই তথ্য জানা যায়।

কার্যবিবরণী তালিকা থেকে জানা যায়, ২ নাম্বার আলোচ্যসূচিতে ‘ অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের -কে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদ ও কমিটি হতে অব্যাহিত’ বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা থেকে অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সিদ্ধান্তে বলা হয়, ‘ অত্র (মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল কমিটি ও গুরুত্বপূর্ণ সকল পর্ষদের সদস্য এবং ভাইস-চ্যান্সেলরের কাছের লোক হওয়ার সুবাদে অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির একচ্ছত্র প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার, শিক্ষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ  এবং বাধাগ্রস্ত করে যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কেউ কোন কথা বললে তার মন:পুত না হলে তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তার পক্ষপাতিত্বমূলক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন। তার এহেন আচরণের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ শিক্ষক/ কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের সম্প্রীতি নষ্ট করছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে। অতএব বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে  এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্ষদ ও কমিটি হতে অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যাপারে সর্বসম্মতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাভাবিপ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো: শাহিন উদ্দীন বলেন, ‘ সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত কার্যবিবরণী আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির ভিসির ঘনিষ্ট হওয়ায় এখানকার প্রায় সব কমিটিতে থাকেন। ভিসি  তার অনুগত হওয়ায় তিনি ( শরীফ এনামুল কবির) প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। সম্প্রতি তিনি শিক্ষক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়েও নেতিবাচক আচরণ করছেন। আমরা কথা বলকে গেলে থামায় দিচ্ছেন। ভিসি ক্ষমতার চর্চার ধরন যেমন শরীফ এনামুল কবিরের কাছ থেকে নেন তেমনি তিনিও ভিসির ক্ষমতা চর্চা করেন।  

সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরে একটা কমিটিতে তিনি ছিলেন কিন্তু আমরা বলেছি তিনি থাকতে পারবেন না। যেটাতে আছে সেটাতেও থাকতে পারবে না এবং নতুন কোন কমিটিতেও না। আমরা বাদ দিতে বলেছি সব কমিটি থেকে। এছাড়া আমাদের ভিসি স্যারের বিরুদ্ধে আসা নানা অভিযোগের ঘটনায় তার হাত থাকতে পারে।

যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির বলেন, ওরা বলুক এসব। ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কি ! ওগুলা বাদ দাও। আমি রিজেন্ট কমিটিতে আছি আর কিছু তো না। আমি ওখানে নিয়োগ নিতে যাই না কোন কিছু না। আমাকে আবার কিসের অব্যাহতি।

উল্লেখ্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির দায়িত্ব পালন করেন। নিজস্ব প্রভাববলয় তৈরি, গণহারে শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ, ছাত্ররাজনীতিতে হস্তক্ষেপ ও ছাত্রলীগকর্মী জোবায়ের হত্যাকান্ডে মদদ দেওয়ার অভিযোগের দায় মাথায় নিয়ে দায়িত্ব শেষ হওয়ার ৯ মাস বাকি থাকতেই সর্বদলীয় শিক্ষকদের আন্দোলনে পদত্যাগে বাধ্য হন অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!