• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জামায়াত নেতা মুসার ফাঁসি


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২৭, ২০১৯, ১১:৫৩ এএম
জামায়াত নেতা মুসার ফাঁসি

ঢাকা : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ের করা মামলায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়ার জামায়াত নেতা রাজাকার আব্দুস সামাদ ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনিত ৪টি অভিযোগের তিনটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত ট্রাইব্যুনাল তাকে ফাঁসির আদেশ দেন। 

এর আগে বেলা ১১টার দিকে ১৭৪ পৃষ্ঠা রায়ের সারসংক্ষেপ পড়া হয়।  এদিন আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

এর আগে গত ৮ জুলাই উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিমভাগ ও গোটিয়া গ্রামে আদিবাসী ও বাঙালিদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ আছে আবদুস সামাদ মুসা ওরফে ফিরোজ খাঁর বিরুদ্ধে। মামলার বিবরণে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পুঠিয়া আক্রমণ করে মানুষ হত্যা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করলে মুসা হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয়।

১৯ এপ্রিল তিনি ৩০ থেকে ৪০ জন হানাদার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে যান। সেখানে তারা ২১ জনকে আটক করেন। তাদের নিয়ে রাখা হয় গোটিয়া গ্রামের তৎকালীন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামের বাড়িতে। সেখানে দিনভর নির্যাতন করে ১৭ জনকে ছেড়ে দেয়া হলেও হত্যা করা হয় চারজনকে।

আসামির বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রসিকিউসনের ১৫ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামির পক্ষে কোনও সাফাই সাক্ষী ছিল না।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে নাশকতার এক মামলায় গ্রেফতার করা হয় আব্দুস সামাদ ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসাকে।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!