• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জালিয়াতি ঢাকতে বুবলীর ভাই জাহিদ পুনঃভর্তি পরীক্ষাই দেননি?


বিনোদন প্রতিবেদক নভেম্বর ২০, ২০১৮, ১১:৩৯ এএম
জালিয়াতি ঢাকতে বুবলীর ভাই জাহিদ পুনঃভর্তি পরীক্ষাই দেননি?

শবনম বুবলী ও ভাই জাহিদ হাসান আকাশ

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটে প্রথমবারের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন আলোচিত নায়িকা শবনম বুবলীর ভাই জাহিদ হাসান আকাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় দ্বিতীয়বার আয়োজন করা হয় পরীক্ষার। তবে সোমবার ‘ঘ’ ইউনিটের এই পুনঃভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেননি জাহিদ হাসান আকাশ নামের ঐ শিক্ষার্থী।
 
গত ১৬ অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিটের ফাঁসকৃত প্রশ্নের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১২০ নম্বরের মধ্যে ১১৪ দশমিক ৩০ পেয়েছিলেন জাহিদ হাসান আকাশ। এর আগে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ইতিহাসে কখনো কেউ এত নম্বর পায়নি । ওই ফলাফলে এই শিক্ষার্থী বাংলায় ৩০ এর মধ্যে ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এর মধ্যে ২৭.৩০ পেয়েছিলেন। ব্যবসায় অনুষদ পড়ে আসা এই শিক্ষার্থী ‘ঘ’ ইউনিটে মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১১৪.৩০ পেয়ে সম্মিলিত মেধাতালিকার বাণিজ্য শাখায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। এই স্কোর ছিল গত ২০ বছরের রেকর্ড।

অথচ নিজের ইউনিট ‘গ’ তে অংশ নিয়ে আকাশ বাংলায় ১০.৮, ইংরেজিতে ২.৪০সহ মোটা ১২০ এর মধ্যে ৩৪.৩২ পেয়েছিলেন। এজন্যই প্রশ্ন ওঠে তার সফলতা এবং মেধা নিয়ে।

পরে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ার পর পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণের দাবি ওঠে। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ ১৬ নভেম্বর ‘ঘ’ ইউনিটে পুনঃভর্তি পরীক্ষা নেয়। কিন্তু জাহিদ সে পরীক্ষায় অংশ না নেয়ার কথা শোনা গেছে। তবে কি জাহিদ পূরনো জালিয়াতি ধরা পড়ার ভয়ে পরীক্ষা দেয়নি। পুনঃভর্তি পরীক্ষায় ১৬ হাজার ১৮১ জন ভর্তিচ্ছু অংশ নেয়।


গত ১৭ অক্টোবর ‘সি‌নেমার গ‌ল্পের ম‌তো বুবলীর ভাইয়ের জালিয়াতি?’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করা হয়েছিল বিভিন্ন গণমাধ্যেমে। খবরটি হুবহু তওলে ধরা হল- 

সময়ের আলোচিত নায়িকা শবনম বুবলীর একমাত্র ছোট ভাই জাহিদ হাসান আকাশ সি‌নেমার গ‌ল্পের ম‌তোই হঠাৎ তু‌খোড় মেধাবী ছাত্র হ‌য়ে গেল। ইউনিটের পরীক্ষায় যে পাসই করেনি, আর ঘ ইউ‌নি‌টে প্রথম!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর)। এতে ২৬.২১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এর আগে পরীক্ষার দিনই এই ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের মধ্যেই ফল প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যেখানে মেধা তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের দুই ইউনিটের ফলাফলের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঘ ইউনিটে মেধাতালিয়ায় ১০০ ক্রমের মধ্যে থাকা ৭০ জনের বেশি শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি।

জাহিদ হাসান আকাশ ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন। গত ১২ অক্টোবর তিনি ঢাবির সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তির জন্য ঘ ইউনিটে পরীক্ষা দেন। সেখানে ব্যবসায় শাখা বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। অথচ ব্যবসায় শিক্ষা শাখার এই শিক্ষার্থী বাণিজ্য অনুষদে ভর্তির জন্য দেওয়া গ ইউনিটের পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন।

ঢাবির গ ইউনিটের পরীক্ষায় ফলাফলে দেখা যায় তিনি বাংলায় পেয়েছিলেন ১০.৮, ইংরেজিতে পেয়েছিলেন ২.৪০। অথচ এই শিক্ষার্থী ঘ ইউনিটের পরীক্ষায় বাংলায় ৩০ এর মধ্যে ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এর মধ্যে ২৭.৩০ পেয়েছেন। যা রেকর্ড বলা যায়।

ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে আসা এই শিক্ষার্থী ঢাবির গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বমোট ১২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছিলেন ৩৪.৩২। অথচ মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ঘ ইউনিটের পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১১৪.৩০ পেয়ে সম্মিলিত মেধাতালিকার বাণিজ্য শাখায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০ বছরে ১২০ এর মধ্যে ১১৪.৩০ কেউ পায়নি। দ্বিতীয় স্থানে যিনি রয়েছেন তিনি ১২০ এর মধ্যে পেয়েছেন ৯৮.৪০। মেধাক্রমে যার ব্যবধান অনেক।

আরেক শিক্ষার্থী তাসনিম বিন আলম ঢাবি ঘ ইউনিটে (বিজ্ঞান শাখায়) প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। অথচ বিজ্ঞান শাখার এই শিক্ষার্থী তার নিজের অনুষদ ক ইউনিটের পরীক্ষায় ১২০ নম্বরের মধ্যে ৪৩.৭৫ পেয়ে ফেল করেছিলেন। সেই তিনিই ঢাবি ঘ ইউনিটে সে ১২০ নম্বরের মধ্যে ১০৯.৫০ পেয়ে সম্মিলিত মেধা তালিকার বিজ্ঞান শাখায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। সূত্র: নিউজজি

সোনালীনিউজ/বিএইচ
 

Wordbridge School
Link copied!