• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাহালম কাণ্ডে ১১ তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা


আদালত প্রতিবেদক আগস্ট ২১, ২০১৯, ০৩:৪৮ পিএম
জাহালম কাণ্ডে ১১ তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঢাকা: পাটকল শ্রমিক জাহালমকে বিনা দোষে কারাগারে আটক রাখার আলোচিত ঘটনায় ১১ জন তদন্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে দুদক। টাঙ্গাইলের জাহালমের মামলা তদন্তে অবহেলার অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে দুদকের দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদক পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) জালাল সাইফুর রহমানের স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে জাহালমকে ভুল আসামি করা ৩৩ মামলাই পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এর আগে আদালতের আদেশে গঠিত দুদকের তদন্ত কমিটি গত ১১ জুলাই একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। সেখানে বিনা দোষে জাহালমের জেল খাটার বিষয়ে দুদক, মামলার পিপিসহ সব পক্ষের দায় ও সমন্বয়হীনতা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পরে আদালত দায়ীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দেন। গত ২৭ জুন আদালত জাহালমের ঘটনায় দুদকের দায় আছে কি না তা নির্ণয় করে গঠিত কমিটিকে আগামী ১১ জুলাই আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক। কিন্তু তদন্তকালে ঠাকুরগাঁওয়ের সালেকের বদলে টাঙ্গাইলের জাহালমকে আসামি করা হয়। আসামি হিসেবে তাকে আবু সালেক ওরফে জাহালম হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সালেকের স্থলে তিন বছর কারাগারে কাটাতে হয়েছে টাঙ্গাইলের জাহালমকে।

বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ও মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেন হাইকোর্ট। জাহালম পেশায় একটন পাটকল শ্রমিক। অভিযোগ থেকে অব্যাহতির পর বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তিনি।

বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ও মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেন হাইকোর্ট। জাহালম পেশায় একটন পাটকল শ্রমিক। অভিযোগ থেকে অব্যাহতির পর বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তিনি।

ওইসময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জাহালম বলেছিলেন, ‘স্যার, আমি জাহালম। আবু সালেক না। আমি নির্দোষ।’ কিন্তু জুট শ্রমিক জাহালমের কোনো কথাই সেসময় পুলিশ কিংবা দুদক শোনেনি। এর ফলশ্রুতিতে আসল আসামি সালেকের পরিবর্তে জাহালমকেই কারাগারে যেতে হয়।

এ নিয়ে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে “৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে: ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না…” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!