• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর

জেরুজালেমে নির্বিচারে গুলি, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মে ১৪, ২০১৮, ১০:১২ পিএম
জেরুজালেমে নির্বিচারে গুলি, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩

ঢাকা: জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইল দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি সমবেত হয়। এ সময় ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো কয়েকশত মানুষ।

সোমবার (১৪ মে) সকাল থেকে ফিলিস্তিনিরা অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সীমান্তে সমবেত হতে থাকে এবং ব্যাপক সুরক্ষায় ঘেরা সীমান্ত বেড়া অতিক্রম করার চেষ্টা চালায় বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনিরা ভূমি দিবস উপলক্ষে ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার দাবিতে পদযাত্রার আয়োজন করে আসছে। ১৯৪৮ সালে তাদের ওই অঞ্চল থেকে জোর করে উচ্ছেদ করা হয়।

এই কর্মসূচির শুরুর পর ইসরাইলি বাহিনী গুলি চালিয়ে ৫৪ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

স্থানীয় সাংবাদিক মারাম হুমাইদ আল-জাজিরাকে বলেন, গত সাত সপ্তাহে এই বিক্ষোভ সমাবেশে যত মানুষ সমবেত হয়েছিল তার তুলনায় আজকে বহুগুণ বেশি ফিলিস্তিনি প্রতিবাদের জন্য জড়ো হয়েছেন।

গত ৩০ মার্চ শুরু হওয়া এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ হবে মঙ্গলবার (১৫ মে)। যে দিনটিকে আবার ফিলিস্তিনিরা নাকবা দিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯৪৮ সালের ১৫ মেতে ইহুদিবাদী ইসরাইল সাড় সাত লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে তা দখল করে নেয়। সেই হিসেবে আগামীকাল ইসরাইলি আগ্রাসনের ৭০ বছর পূর্তি হবে।

একই সঙ্গে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজকরা এই কর্মসূচিতে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদ জানানোর পরিকল্পনা করেন।

এখন ইসরাইলের দখলকৃত পশ্চিম তীরের শহর রামাল্লা ও হেব্রনেও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদ করছে ফিলিস্তিনিরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ডিসেম্বের একতরফাভাবে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। সেইসঙ্গে মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন।

তার সেই ঘোষণা অনুযায়ী আজ সোমবার মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করা হবে। এ উপলক্ষে ইতিমধ্যে মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও জামাতা জারেদ কুশনারকে ইসরাইলে পাঠিয়েছেন তিনি।

এ ছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারা, যদিও ইসরাইলের আহ্বানে সাড়া দেয়নি অন্যান্য দেশের কূটনীতিকরা। তাছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রাম্পের দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!