• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
নুসরাত হত্যা

জোবায়েরের দেখানো মতে ডাঙ্গিখাল থেকে বোরকা উদ্ধার করা হয়


আদালত প্রতিবেদক জুলাই ২৫, ২০১৯, ০১:৩৪ পিএম
জোবায়েরের দেখানো মতে ডাঙ্গিখাল থেকে বোরকা উদ্ধার করা হয়

ঢাকা : ফেনীর আলোচিত নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বোরকা জোবায়েরের দেখানো মতে পিবিআই কর্মকর্তারা ডাঙ্গিখাল থেকে উদ্ধার করেন বোরকাটি হত্যাকান্ডের সময় জোবায়েরের পরনে ছিলো।

রাফির গায়ে আগুন দেওয়ার পরপরই বোরকাটি এখানে খুলে রেখে জোবায়ের পালিয়ে যায় বলে জেনেছি। ঘটনার সময় আমাদের ডেকে এনে জব্দ তালিকায় সাক্ষ্য নেন পিবিআই।’

বুধবার (২৪ জুলাই) আদালতে এমন সাক্ষ্য দিয়েছেন সোনাগাজী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাম্মদ মহীউদ্দিন চৌধুরী। অপর ৫ সাক্ষীও বোরকা উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন বলে আদালতকে জানান। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে তারা সাক্ষ্য প্রদান করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন।

প্রফেসর মুহম্মদ মহীউদ্দিন চৌধুরী ছাড়াও কলেজের উপাধ্যক্ষ রেজা মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, স্থানীয় হাফেজ মোবারক হোসেন, মো. ইব্রাহিম, মো. নুর উদ্দিন ও আকরাম হোসেন সাক্ষ্যপ্রদান করেন। এ মামলায় ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত; গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে নুসরাত জাহান রাফিকে ছাদে ডেকে নিয়ে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম আদালতে মোট ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্রের ১৬ আসামি হলেন মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আব্দুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদরাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল। এ মামলায় মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

তদন্তে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পিবিআই অন্য ৫ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করলে আদালত তা অনুমোদন করেন। গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাত রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে ৭ জন সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ মামলায় গ্রেফতারকৃত মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!