• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জ্যেষ্ঠ নেতাদের দল ছাড়ার পেছনে সরকারের ষড়যন্ত্র, বলছে বিএনপি


বিশেষ প্রতিবেদক নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৪:১৯ পিএম
জ্যেষ্ঠ নেতাদের দল ছাড়ার পেছনে সরকারের ষড়যন্ত্র, বলছে বিএনপি

ঢাকা: হঠাৎ বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতার দল ছেড়ে চলে যাওয়া আর কয়েকজন নেতা চলে যেতে পারেন বলে যে গুঞ্জন আছে তার পেছনে সরকারের ষড়যন্ত্র দেখছে দলটি। এ বিষয়ে দলটি মনে করছে, সরকারের অনৈতিক চাপের কারণেই নিজেদের ব্যবসা রক্ষা, মামলা থেকে রেহাই ও শেষ বয়সে ঝামেলামুক্ত নির্ঝঞ্জাট বেঁচে থাকার মানসিকতাই এসব নেতার বিএনপি ছাড়ার উপজীব্য হিসেবে কাজ করছে। 

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতা, ভাইস চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহাসচিব পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে।

শীর্ষ নেতারা জানান, বিএনপিকে নিয়ে সরকারের ষড়যন্ত্র নতুন কিছু না। সেনাসমর্থিত ওয়ান ইলেভেনের তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকেই এ ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এখনও সেই যড়যন্ত্র চলমান রয়েছে। হয়ত ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের চেতনায় ও জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিএনপি ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাবে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অনেকেই অনেক কিছু ভাবতে পারেন কিন্তু বাস্তবতা হলো বয়স ও অসুস্থতার কারণে কেউ কেউ রাজনীতি থেকে অবসরে যাচ্ছেন। তাদের অনেকেই রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন দীর্ঘদিন। যেমন- মোর্শেদ খান অনেক দিন ধরেই দলে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। গেলো নির্বাচনেও তিনি অংশ নেননি। মাহবুবুর রহমানও বয়সজনিত কারণে অনেকদিন অসুস্থ। তাই তাদের পদত্যাগে বিএনপির রাজনীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না।

কিছুদিন আগে রাজনীতি থেকে অবসরের কথা জানিয়ে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকেই পদত্যাগ করেছেন এম মোর্শেদ খান। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনা প্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানও বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। 

এরপর গুঞ্জন রয়েছে- যে কোনও সময়  বিএনপি ছাড়তে পারেন দলের বেশ কয়েকজন ভাইস চেয়ারম্যান। তাদের মধ্যে রয়েছেন- মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

জানা গেছে, সম্প্রতি আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বাসায় বিএনপির ক্ষুব্ধ নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মেজর (অব.) হাফিজ ‍উদ্দিন আহমদ, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন নিজান, সর্দার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, নজির হোসেন, সাবেক দফতর সম্পাদক মফিদুল হাসান তৃপ্তি অংশ নেন।

সূত্র থেকে আরো জানা যায়, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রশ্নে কঠোর কোনও আন্দোলন না করা, বিএনপিতে অতিমাত্রায় তারেক রহমানের খবরদারি, জামায়াত ঘনিষ্টতা, লন্ডনেও তারেকের চারপাশে হাওয়া ভবনের কুখ্যাত দুর্নীতিবাজদের খবরদারি-চাঁদাবাজি, জুনিয়রদের দিয়ে সিনিয়রদের অসম্মান করা, দলীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় করে রাখা, সিনিয়র অনেককে বাদ দিয়ে দলীয় রাজনীতিতে তুলনামূলক জুনিয়র সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে দলের নীতি-র্নিধারক মনোনীত করাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক সিনিয়র নেতার মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভের বহির্প্রকাশ হিসেবে অনেকে দল ছাড়ার চিন্তা করছেন।

বিষয়টি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ষড়যন্ত্রতো থাকতেই পারে। এটাতো থেমে নেই। থেমে ছিলও না কখনও। যারা চলে গেছেন, তারা বয়স্ক। তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এখানে সরকারের ইন্ধন বা চাপ আছে কি নাই সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ সবাইতো আমরা মামলার আসামি। শেখ হাসিনা মামলার আসামি কতজনকে নেবে।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা যা দু-চার জন নিয়েছে, এখন তাদের তাড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে গেছে। এখন সরকার কি করবে? এদের নিয়ে কি নিস্ক্রিয় করবে? আমরা নিস্ক্রিয় হয়ে গেছি, সক্রিয় কি কেউ হবে না? আমি কালকে মারা গেলে কি বিএনপি চলবে না?

বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, এরাতো এটাও ভেবেছিল জিয়াউর রহমানকে মেরে ফেললে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বিএনপি তো শেষ হয়নি। তারাতো এটাও ভেবেছিল খালেদা জিয়াকে জেলখানায় নিতে পারলে বিএনপি শেষে। কিন্তু বিএনপি কি শেষ হয়েছে? তারেক রহমানকে দেশে আসতে না দিলেই বিএনপি শেষ। বিএনপি কি শেষ হয়েছে?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি থেকে সম্প্রতি দুজন নেতা পদত্যাগ করেছেন। আরও কয়েকজনের নাম পদত্যাগের তালিকায় গণমাধ্যম রেখেছে, সেটা আমি বা আমরা জানি। আমাদের সবারইতো এখন বয়স হয়ে গেছে। আমরাতো অনেকেই দেহত্যাগের স্বাভাবিক বয়সে চলে এসেছি। এরমধ্যে হাঁটাচলা করে যে কয়দিন ভাল থাকতে পারি। আজরাইলের তালিকায় যদি তাদের নাম আসে পদত্যাগের সময়তো নাও পেতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, সত্যিকার অর্থে আমি ১০ বছর আগে দলকে যা দিতে পারতাম এখন কি তা পারি? পারি না তো। সুতরাং এটা নিয়ে এত লাফালাফি করে সরকারকে কথা বলার সুযোগ দিয়ে লাভ নেই। সাংবাদিকরাইতো লেখালেখি করে নিস্ক্রিয়দের তালিকা। আবার তারা পদত্যাগ করে সাংবাদিকদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেলো কেন?

সূত্র বলছে, অতীতে যেসব নেতা দল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন, তারা মুখে যাই বলুন না কেন, তাদের বিএনপি ছাড়ার পেছনে মূল কারণ সরকারের হয়রানি থেকে রেহাই পাওয়া। শেষ বয়সে একটু স্বস্তিতে বেঁচে থাকার আশা। এটাকে তত নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার কিছু নেই। বিএনপির মতো একটি বৃহৎ দল থেকে কিছু মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে দল ছেড়ে গেলেও এ দলের তেমন কোনও ক্ষতি হবে না বলে মনে করছেন দলটির সিনিয়র নেতবৃন্দ।

এদিকে, সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খানের পদত্যাগের বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, একমাত্র রাজনীতিতেই কোনও অবসর নাই। কিন্তু সকল পেশায় অবসর আছে, বয়সের একটা সীমাও আছে। শারীরিক সক্ষমতারও একটা সীমা থাকে। একমাত্র রাজনীতিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত থাকে। দুজন পদত্যাগ করেছেন। এ রকম উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ অনেকে হারিয়ে গেছেন, মারা গেছেন। তরিকুল ইসলাম, সাদেক হোসেন খোকা মারা গেছেন। যারা পদত্যাগ করছেন পদত্যাগের মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তারা বিএনপি করতেন। কার্যত শারীরিক কারণে তারা অনেক দিন যাবৎ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিস্ক্রিয় ছিলেন। কম হলেও ১০টা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জেনারেল মাহবুবুর রহমান যোগদান করেননি। একইভাবে মোর্শেদ খানও শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি ঠিকভাবে কথাও বলতে পারেন না।

তিনি আরো বলেন, জেনারেল মাহবুব বলেছেন বর্তমান রাজনীতির প্রতি আমি বিতশ্রদ্ধ। উনি কিন্তু বিএনপির রাজনীতির কথা বলেননি। বর্তমানে দেশের রাজনীতির যে অবস্থা, এটা অনেকের কাছেই ভাল লাগে না। উনার আর কয়দিন পর বয়স হবে আশি বছর। নির্বাচনের আগে থেকেই বলে আসছেন শারীরিক কারণে আর পারি না। মোর্শেদ খানের বেলাতেও বলবো দৃশ্যত সক্রিয় থাকার সুযোগ নাই। উনি বলেছেন দলে কোনও অবদান রাখার মতো তার অবস্থা নাই। সে কারণেই তিনি চলে গেছেন।

এদিকে, বিএনপি স্কাইপির দলে পরিণত হয়েছে- মোরশেদ খানের এমন বক্তব্যের বিষয়ে গয়েশ্বর রায় বলেন, সেটা তিনি বলতেই পারেন। স্কাইপিতো একটা আধুনিক পদ্ধতি। স্কাইপিতে দল চলছে, আলাপ-আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রীও স্কাইপিতে বহু প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করেন। একেক দিন ৫০/৬০টা করেও করেন। প্রধানমন্ত্রী শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে প্রকল্পগুলো বা প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্বোধন করতে পারেন না। প্রায়ই তিনি ডিসিদের সাথে স্কাইপিতে কথা বলেন। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথেও স্কাইপিতে কথা বলেন। এখন আধুনিক প্রযুক্তি যেখানে আছে সেখানে আমি কাজে লাগাবো না কেন? সুতরাং উনি যেটা বলেছেন সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ওনারা দীর্ঘ পথচলার পরে জানত সামনের অফুরন্ত পথ চলার মতো তারা এখন ফিট না। সেখান থেকে যদি অবসরে যেতে চান, তাদের অবসরে থাকতে দেই না, অসুবিধা কি?

বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি জাতীয়তাবাদী শক্তির একটা প্লাটফর্ম। জাতীয়তাবাদী শক্তির মধ্যে এই লোকগুলো মাঝে-মধ্যে আসবে। কিছু সময় থাকবে আবার থাকবে না। কিন্তু প্লাটফর্ম খালি হবে না। চলন্ত ট্রেনে কিছু উঠবে, কিছু নামবে। কিছু স্টেশন ত্যাগ করবে। তারপরও প্লাটফর্ম ভরপুর থাকবে। বিএনপি থেকে যেমন যাওয়ার নিয়ম আছে, তেমনি বিএনপিতে আসারও নিয়ম আছে। আসতেওতো আছে।

গয়েশ্বর রায় আরো বলেন, আমি যদি কালকে উদ্যোগ নেই চমক দেখাতে পারবো। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা বিএনপিতে যোগ দেবে। কিন্তু সেই রাজনৈতিক দলগুলোকেতো ছোট করার দায়িত্ব আমাদের না। আমাদের জোটভুক্ত অনেক দল আছে যেখানে অনেক নেতা আছে সরাসরি বিএনপিতে অংশগ্রহণ করতে চায়। কিন্তু তাদের বিএনপিতে আনলে জোট নামক যে একটা শক্তি বা অলঙ্কার সেটা থাকবে না।

তবে বিএনপি সূত্র জানায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানে তারেক রহমানের ভুল-ত্রুটি ধরে বা দল পরিচালনায় তার একক কর্তৃত্বর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে যারা দল ছেড়ে যাচ্ছেন তাদের ভাল চোখে দেখছে না বিএনপি। এসব দলছুট নেতারা দলের সু-সময়ে মাছি হিসেবে এতদিন বিএনপিতে ছিলেন বলেও অনেকে দাবি করছেন। তারা নিজেদের স্বার্থে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য বিএনপিকে ব্যবহার করেছেন বলেও দলের নেতা-কর্মীরা দাবি করছেন। হয়তো তারেক রহমান কোনও ভুল করছেন। তার দল পরিচালনা অনেকের পছন্দ হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে তিনি তো (তারেক) বিএনপির চেয়ারম্যান না। 

চেয়ারপারসন সরকারের রাজনৈতিক রোষানলে পরে কারাগারে আছেন। তিনি বর্তমান। এসব দলছুট নেতাদের নৈতিকভাবে উচিত ছিল চেয়ারপারসনের মুক্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করা। তিনি মুক্ত পরিবেশে ফিরে আসলে তারা তাকে (খালেদা জিয়া) তাদের জমানো সব অভিযোগ জানাতে পারতেন। যদি সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকেন তিনি আর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে থাকবেন না, তখন তাকেই (খালেদা জিয়া) বলতেন, ম্যাডাম আমি আর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে নেই। কিন্তু তারা তা না করে দলের এই নাজুক মুহূর্তে বিএনপি থেকে চলে যাচ্ছেন, এটা আইনগতভাবে কোনও দোষের না কিন্তু নৈতিকতার কাছে অবশ্যই দোষনীয়। বিবেকের কাছেও তারা অপরাধী হিসেবেই গণ্য হবেন।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান বলেন, যারা চলে যাওয়ার তারা যে কোনও কারণ দেখিয়েই চলে যেতে পারেন। তবে এসব নেতাদের শুধু দল না রাজনীতি ছেড়ে চলে যাওয়ার মূল কারণ সরকারের চাপ। সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের নানা রকম চাপের মুখে রেখেছে, এটা দিবালোকের মত সত্য। মামলা-হামলা-নির্যাতন, হেন কোনও পন্থা নেই যা সরকার ব্যবহার করছে না। তবে যেসব নেতা চলে যাচ্ছেন, আসলে তারা রাজনীতিতে দেয়ার মত অবস্থায় নেই। তাদের অনেকেরই বয়স হয়েছে। রাজনীতিতে দেয়ার মত শারীরিক সামর্থও অনেকের নেই। সেই কারণেই হয়ত তারা রাজনীতি ত্যাগ করছেন।

আর তারেক রহমানের নেতৃত্বের বিরোধিতা করেই এসব নেতা বিএনপি ছাড়ছেন, এমন কথা মানতে নারাজ অ্যাডভোকেট আজম। 

বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, এ কথা কোনওভাবেই সত্য নয়। এসবই সরকারের অপপ্রচার, প্রপাগান্ডা। বরং ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) অনুপস্থিতিতে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিকভাবে স্কাইপির মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। তার এ তৎপরতায় আমাদের নেতা-কর্মীদের ভেঙে পড়া মনোবল আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি। অন্য যে কোনও সময়ের তুলনায় বিএনপি আরও সংগঠিত ও চাঙা হয়ে উঠছে।

এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, কেউ যদি বিএনপি ছেড়ে চলে যান তাতে বিএনপির কিছু যায় আসে না। কারণ বিএনপি একটি বৃহৎ দল। মনে রাখবেন হাতি শুয়ে থাকলেও গরু, ছাগল ও ভেড়ার চেয়ে উঁচু থাকে।

তবে সরকারের চাপেই অনেকে নিজেদের রক্ষা করতে বিএনপি ছেড়ে যাচ্ছেন দাবি করে তিনি বলেন, যারা সরকারের চাপ সহ্য করতে পারেন না, তারা চলে যেতে পারেন, তাতে বিএনপির কিছু যায় আসে না। কিন্তু চলে যাবার সময় আবার সরকারকে খুশি করতে বিএনপির নামে অনেকে বদনাম গেয়ে যাচ্ছেন। এটা বরদাস্ত করা যায় না।

তিনি অভিযোগ করে আরো, অনেকেই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। আর সেই সম্পদ রক্ষা করতে তারা সরকারকে খুশি করতে বিএনপিকে নিয়ে বাজে কথা বলছেন। যা সহ্য করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ    

Wordbridge School
Link copied!