• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জয়নুল আবদিন ফারুকের গাড়িবহরে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৩


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮, ০১:৫৩ পিএম
জয়নুল আবদিন ফারুকের গাড়িবহরে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৩

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা : নোয়াখালী-২ (সেনবাগ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুকের গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছে। এ সময় গাড়িবহরে থাকা সেনবাগ উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিএনপির অন্তত তিন নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

গুলির ঘটনায় জয়নুল আবেদীন ফারুক অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও আহত হয়েছেন কয়েকজন। গুলি করা হয়েছে গাড়িবহরে থাকা অন্তত ৫টি গাড়িতে। ১০-১২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে।

মহান বিজয় দিবসে রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টায় সেনবাগ পৌরসভার চত্বরে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্মৃতিস্তম্ভে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ফুল দিতে যান জয়নুল আবদীন ফারুক। তারা ফুল দিয়ে সেখান থেকে ফেরার পথে গাড়িবহরে এ হামলা চালানো হয়।

এসময় অজ্ঞাত দুবৃত্তরা অফিসে থাকা বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী জয়নুল আবদিন ফারুকের ৩০ হাজার নির্বাচনী পোস্টার, ১৫ হাজার লিফলেট, টেলিভিশন ও অফিসের আসবাবপত্র পুড়ে পেলে। এ হামলার জন্য বিএনপির প্রার্থী জয়নুল আবদিন ফারুক আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে।

খবর পেয়ে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থালে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পুড়ে ফেলা পোস্টার, ফেস্টুন ও অন্যন্য জিনিসপত্র রাস্তা থেকে সরিয়ে যানবাহন চলাচলে ব্যবস্থা করে দেন।

হামলার খবর পেয়ে আহতদের দেখতে দুপুরে প্রাইম হাসপাতালে দেখতে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহাজাহান।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা, সাবেক বিরোধীদলীয় চীপ হুইপ ও নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনের বিএনপি মনোনিত প্রার্থী জয়নুল আবদিন ফারুক অভিযোগ করে জানান, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পনের জন্য সেনবাগ পৌর শহরের দক্ষিন বাজার দলীয় কার্যালয়ে নেতাকার্মীরা একত্রিত হয়।

এসময় সকাল ৯টারদিকে আওয়ামী লীগ নেতা আলী আক্কাস রতন, গোলাম কবির ও ছাত্রলীগ নেতা মাজেদুল হক তানভিরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েক শ নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে অফিসে থাকা নির্বাচনী পোস্টার, ফেস্টুন, টেলিভিশন ও চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে অফিস বাহিরে রাস্তার ওপর নিয়ে আগুল লাগিয়ে দেয়।

দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি জহিরুল ইসলাম লিটন, পৌর বিএনপি সেক্রেটারী শহীদুল আলম, উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি সাহেব উদ্দিন রাশেল, বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম ফুটন চৌধুরী, জাকের হোসেনসহ অন্তত ১০ জনকে এলোপাথাড়ী পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এসময় সন্ত্রাসীরা নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত জয়নুল আবদিন ফারুক ও আবুল কালাম আজাদের দুইটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করে নং চট্ট মেট্রো-চ-১১ ১৩৮৩ ও ঢাকা মেট্রা চ-১১ ৪৫৪৯। দলীয় নেতাকমীরা আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী প্রাইম হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করান।

সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মিজানুর রহমার ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কে বা কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা অনুসন্ধান করে দেখছেন। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!