• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঝাড়ফুঁকের নামে নারীদের ধর্ষণ করতেন কবিরাজ!


ফরিদপুর প্রতিনিধি ডিসেম্বর ১১, ২০১৮, ০৯:৫৩ পিএম
ঝাড়ফুঁকের নামে নারীদের ধর্ষণ করতেন কবিরাজ!

প্রতীকী ছবি

ফরিদপুর: জেলার বোয়ালমারীতে এক কবিরাজের বিরুদ্ধে তদবিরের নামে নিঃসন্তান নারীদের ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। নুরচান (৬০) নামের ওই কবিরাজ উপজেলার মিঠাপুর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।

জানা গেছে, মিঠাপুর গ্রামে কয়েকবছর ধরে কবিরাজি করে আসছেন নুরচান। নিঃসন্তান নারীদের ঝাড়ফুঁকের তদবির করতেন তিনি। এ ছাড়া বান মারা, তাবিজ দেয়াসহ নানা ধরনের প্রতিকারও করতেন। সম্প্রতি এক নারীকে ঝাড়ফুঁকের নামে ধর্ষণ করলে বিষয়টি সামনে আসে।

ওই নারীর স্বামী জানান, কয়েকদিন আগে তার স্ত্রী নুরচান কবিরাজের কাছে তদবির নিতে যান। এ সময় কবিরাজ তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন। লোক লজ্জার কারণে তার স্ত্রী বিষয়টি প্রথমে তাকে জানাননি। কিন্তু কিছুদিন আগে ওই কবিরাজ বাড়িতে এলে তার স্ত্রী ভয়ে ঘটনাটি খুলে বলেন।

তিনি আরো জানান, ঘটনা শোনার পর তিনি ও এলাকার কয়েকজন মিলে কবিরাজকে মারধর করে আলফাডাঙ্গা বাজারে আটকে রাখেন। পরে ইউনিয়ন সদস্য ও বোয়ালমারী উপজেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের উপস্থিতিতে বিষয়টির মিমাংসা করেন স্থানীয় কর্তাব্যক্তিরা। এ সময় কবিরাজ নুরচানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মিমাংসায় নুরচান ওই নারীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে পালিয়ে যান। এখন পর্যন্ত তিনি পলাতকই আছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, একবছর আগে ঠিক এমনই এক ঘটনায় আরেক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে নুরচান কবিরাজকে জেলহাজতে পাঠান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল খায়ের।

বিষয়টি নিয়ে আবুল খায়েরের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, গতবছর আগে এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে নুরচানকে পুলিশে দেয়া হয়েছিল। নতুন করে ওই কবিরাজ আবার কী করেছেন এ ব্যাপারে জানেন না তিনি।

বোয়ালমারী উপজেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান মুঠোফোনে জানান, মিঠাপুর গ্রামের এক নারীকে ওই কবিরাজ ধর্ষণ করেন। এলাকার লোকজন তাকে পিটিয়ে বাজারে আটকে রাখে। পরে তিনি ও রূপাপাত ইউনিয়নের সদস্য ঝন্টু বিশ্বাস এক শালিসে বিষয়টির মিমাংসা করেন। সেখানে নুরচানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জরিমানা দেয়ার পর ওই কবিরাজ পালিয়ে গেছেন বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!