টাঙ্গাইলে ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ উদ্দিন আহমেদ।

আজ বুধবার দুপুরে তিনি এই আদেশ দেন। মামলার রায়ে তিনি আসামীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। যুবকের নাম চাঁন মিয়া ওরফে চাঁন খাঁ। তার পিতার নাম মোকছেদ খাঁ বাড়ি গোপালপুর উপজেলার পাকুটিয়া উত্তর পাড়া গ্রামে।

বিচারক কিশোরীর গর্ভে জন্ম নেয়া কন্যা শিশুটির পিতা হিসেবে দন্ডিত চাঁন মিয়াকে রায় দেন। সেই সাথে কন্যা শিশুটির বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তার সমস্ত ব্যায়ভার চাঁন মিয়াকে বহন করার আদেশ দেন। যদি ব্যায়ভার বহন না করেন তবে জেলা প্রশাসনকে দন্ডিত ব্যক্তির সম্পদ বিক্রি করে ব্যায়ভার বহন করার আদেশ দেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, গোপালপুর উপজেলার পাকুটিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের এক কিশোরীকে একই এলাকার চাঁন মিয়া (২৮) ২০০৮ সনের ২ আগষ্ট বাড়িতে কেউ না থাকায় জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। পরে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চাঁন মিয়া একাধিকার ধর্ষণ করে। এতে কিশোরী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তাকে বিয়ে করার চাপ দিলে, চান মিয়া বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পরে ঐ কিশোরী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য থানায় প্রেরণ করেন।

থানায় তদন্তের পর এজাহার বিষয়ে গন্য হয়। পরে ঐ কিশোরীর একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। আসামীর ডিএনএ টেস্ট এর মাধ্যমে প্রমানিত হয় কিশোরী গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুটি চাঁন মিয়ার।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি আব্দুল কদ্দুস। তাকে সহায়তা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি একেএম নাসিমুল হক। আসামী পক্ষে এডভোকেট আসাদুজ্জামান খান আইয়ুব।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/মে