• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টেইলর সুইফটই সেরা


বিনোদন ডেস্ক ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ০৩:১৯ পিএম
টেইলর সুইফটই সেরা

ঢাকা : একজন গায়িকার সুমিষ্ট গলার সঙ্গে যদি মিষ্টি চেহারা আর গ্ল্যামার যোগ হয় তাহলে তিনি হয়ে ওঠেন পরিপক্ব। টেইলর সুইফট তেমনই একজন তারকা। সোনালি চুল, গাঢ় নীল চোখ আর পাতলা গড়নের লাস্যময়ী টেইলরকে দেখলে রূপকথার পরীদের মতোই মনে হয়। রূপকথার আবেশ থাকে তার প্রতিটি গানের কথাজুড়ে। এ বছরটা দারুণ পার করলেন এ গায়িকা।

আলোচিত এ তারকা মিউজিক ভিডিও ও স্টেজ শো দিয়ে দর্শক মাতিয়েছেন বছরজুড়ে। পেয়েছেন বেশ কয়েকটি নামিদামি পুরস্কার। সর্বশেষ এমটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের পর এবার আমেরিকার জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ‘পিপল ম্যাগাজিনে’র জরিপে শ্রেষ্ঠ পপশিল্পী হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন এই তরুণ কণ্ঠশিল্পী। বিষয়টি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত টেইলর।

এ বছরটা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ২০১৯ সালে তার অ্যালবাম লাভার মুক্তি পায়, পুরো বছর তিনি নিজের গান রক্ষার জন্য লড়েছেন। পিপল ম্যাগাজিন বলেছে, ‘টেইলর তার সৃষ্টিশীলতার অধিকার রক্ষায় সোচ্চার ছিলেন।’ তার এ বিশ্বাসই তাকে এ বছরের একজন ‘পিপল অব দ্য ইয়ার’ করেছে।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সংগীতশিল্পীর তকমা জোটে তার ভাগ্যে। শুধু তাই নয়, দর্শকদের বিচারে টেইলর সুইফটের সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। আবার এমটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে চলতি বছরের সেরা ভিডিওর খেতাব পেয়েছেন পপতারকা টেইলর সুইফট। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে এক জমকালো আয়োজনে সম্মাননাপ্রাপ্ত শিল্পীদের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়। তার ‘ইউ নিড টু কাম ডাউন’ গানটি বছরের সেরা মিউজিক ভিডিওর পুরস্কার পান।

টেইলর বলেন, ‘চলতি বছরটি ছিল আমার জন্য ঘটনাবহুল একটি বছর। আমি চেষ্টা করব সামনের বছরটি অনেকটা গুছিয়ে পথ চলার। ভক্তদের সুন্দর সুন্দর গান উপহার দেওয়ার। আমি পুরস্কারের চেয়ে ভক্তদের মনের খোরাক মেটাতে বেশি পছন্দ করি। ভক্তরাই আমার বড় পুরস্কার।’

টেইলরের প্রতিটি গানের কথায় এক নতুন দিন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা আর নতুন প্রতিজ্ঞার কথা থাকে। মাত্র ২৯ বছরের জীবনেই টেইলরের আকাশছোঁয়া খ্যাতি, অঢেল অর্জন আর পৃথিবীজোড়া কোটি ভক্তের ভালোবাসা প্রাপ্তি।

কান্ট্রি মিউজিক দিয়েই টেইলরের সংগীত সাধনা শুরু। ২০০৬-এর অক্টোবরে বের হয় টেইলরের প্রথম অ্যালবাম। এই অ্যালবামটি বিলবোর্ডে পঞ্চম স্থান দখল করে নেয় আর এর গানগুলো ১৫৭ সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে। কিশোরী মনের অনুভূতি, একেবারে সাদামাটা মনের কথা সোজাসাপ্টা ভাষায় এভাবে হয়তো আর কেউ উপস্থাপন করতে পারেননি আগে। অদ্ভুত এক সারল্য আছে তার গানগুলোয়। টিনেজারদের মধ্যে সাড়া জাগাতে তাই বেগ পেতে হয়নি টেইলরের।

গায়িকার পাশাপাশি টেইলর অসাধারণ একজন অভিনেত্রীও। ২০০৯-এ ‘হানামনটানা’ মুভিতে টেইলর অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০১০ সালে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ ছবিতে জেসিকা অ্যালবা, অ্যানি হ্যাথওয়ে, ব্র্যাডলি কুপারের পাশাপাশি টেইলর অভিনয় করেন। তার মনোমুগ্ধকর উপস্থিতি ও অভিনয় এককথায় তুলনাহীন।

এছাড়া নিজের অভিনীত মিউজিক ভিডিওগুলোও টেইলরের অভিনয় প্রতিভার অনন্য নিদর্শন। গানের ভিডিওতে সেই সোনালি চুলের রাজকুমারী বা গিটার হাতে সুরের ঢেউ তোলা স্টেজ শিল্পী বা সেই গোবেচারা মেয়েটা, অথবা দুরন্ত অবতার সব রূপেই নিজেকে সমান সুচারুরূপে ফুটিয়ে তুলেছেন টেইলর।

টেইলরের অর্জনের মধ্যে রয়েছে ১০টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড, ২৩টি বিলবোর্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, ১১টি কান্ট্রি মিউজিক অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড, আটটি একাডেমি অব কান্ট্রি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, ১৯টি আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, একটি ব্রিট অ্যাওয়ার্ড এবং একটি অ্যামি অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য পুরস্কার ও পুরস্কারের মনোনয়ন। ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী গ্র্যামি বিজেতা শিল্পীও তিনি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!