• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ড. শাম্মী আহমেদ, একজন কর্মবীর নেত্রী


নিউজ ডেস্ক মার্চ ১৬, ২০২০, ০৪:৫৪ পিএম
ড. শাম্মী আহমেদ, একজন কর্মবীর নেত্রী

ঢাকা : রাজনৈতিক পরিবারেই জন্ম। শৈশব থেকেই দেখেছেন বাবার রাজনীতি। ছোট্টবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের প্রতি তাই গভীর অনুরাগ। একটা সময় দেশের বাইরে থাকলেও এখন মনপ্রাণজুড়ে শুধুই আওয়ামী লীগ। কাজ করে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশকে সুপরিচিত করতে। তিনি ড. শাম্মী আহমেদ।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম ভোটব্যাংক বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের কৃতী সন্তান। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জননেতা মহিউদ্দিন আহমেদের সুযোগ্য কন্যা। মহিউদ্দিন আহমেদ যিনি কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। ড. শাম্মী আহমেদ কাজ করছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনার সঙ্গে।

আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন ড. শাম্মী আহমেদ। প্রথম দফায় দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করেছেন। আস্থা অর্জন করেছেন দেশনেত্রীর। তারই পুরস্কারস্বরূপ দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব গ্রহণ। সেই দায়িত্বও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন তিনি। দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব গ্রহণের পরই সামনে চলে আসে মুজিবশতবার্ষিকীর চ্যালেঞ্জ। সে লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক কমিটির পক্ষ থেকে। যদিও বৈশ্বিক সমস্যা করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যাঘাত হচ্ছে সব প্রোগ্রাম। আপাতত সব স্থগিত। পরিস্থিতি বুঝে সব করা হবে বলে বাংলাদেশের খবরকে জানিয়েছেন ড. শাম্মী আহমেদ।

একান্ত ফোনালাপে তিনি জানান, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমাদের অনেক প্রোগ্রামই আছে। বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার, কূটনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নানা প্রোগ্রামসহ অনেক কিছুই। কিন্তু এখন তো সবই স্থগিত। হয়তো মাস দুয়েক পর আমরা কাজ শুরু করব।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই মুহূর্তে তো কোনো কাজই করা যাচ্ছে না। গণজমায়েত তো করাই যাবে না। কিছু প্রোগ্রাম আছে যেখানে ছাত্রছাত্রীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাদের ছাড়া হবেই না। তাই কোনোভাবেই এখন সেসব প্রোগ্রাম করা যাবে না। তবে আশা করি আগামী মাস থেকে আমরা কাজে নামতে পারব, পরিস্থিতি বুঝে।’

প্রথম দফায় দায়িত্ব পালনকালে অনেক কাজই করেছেন শাম্মী আহমেদ। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের মতো জাতীয় ইস্যু নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার অবিরাম পথচলা। প্রতিনিয়ত আয়োজন করে যাচ্ছেন সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপসহ সরকারের পক্ষে নানাবিদ প্রচার-প্রচারণা। গত দুই বছরের মধ্যে একটি বইও বের করেছিলেন তিনি। আর সেটা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে। নাম ছিল ‘মুজিব টু হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ইন্টারন্যাশনাল অ্যারিনা’।

এছাড়া বছরের উল্লেখযোগ্য দিবস যেমন ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর-এমন দিনগুলোতেও নানা প্রোগ্রাম করে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।

ড. শাম্মী আহমেদের সাথে যুক্ত একঝাঁক তরুণ উদ্যমী উপ-কমিটির সদস্য। এখানে সবাই কাজ করেন সম্মান নিয়ে। দেশকে তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

ড. শাম্মী আহমেদ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য শেখ মমিন বলেন, ‘শাম্মী আপার একক প্রচেষ্টায় আমরা কাজ করছি।
আপার দিকনির্দেশনায় আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের সুনাম ও অর্জন তুলে ধরছি। যা একমাত্র শাম্মী আপার চেষ্টার ফল। শাম্মী আপা একজন কর্মবীর নেত্রী। এই কমিটির অন্যতম সফলতা বাংলাদেশে অবস্থিত সব দেশের মিশন ও বিদেশি সংস্থাগুলোকে এক মঞ্চে নিয়ে আসা। আর সেই কাজটিই সফলভাবে করেছেন আপা।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-শোষণ-বঞ্চনা ও দুর্নীতিমুক্ত একটি উন্নত-সমৃদ্ধ-আধুনিক রাষ্ট্র এবং শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রামে জনগণকে সম্পৃক্ত করা এবং তাদের সংগঠিত করতে এই কমিটি যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বলে বিশ্বাস ড. শাম্মী আহমেদের।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!