• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডা. সাবরিনা ৩ দিনের রিমান্ডে


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৩, ২০২০, ১১:৫৬ এএম
ডা. সাবরিনা ৩ দিনের রিমান্ডে

ঢাকা : কোভিড-১৯ টেস্টের ভুয়া সার্টিফিকেট ও  প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এর আগে তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
 
সোমবার (১৩ জুলাই) সকালে ডা. সাবরিনার প্রতারণার মামলা শুনানি শেষে ঢাকার চীফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতদের বিচারক শাহিনুর রহমান তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

এর আগে রোববার গ্রেফতারের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ জানিয়েছিলেন, সোমবার সাবরিনাকে আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে।

ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী। ওভাল গ্রুপ লিমিটেড নামে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মেরও চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা। যেটার প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। হাসপাতালে তার কক্ষের সামনে নেইমপ্লেটে তার নাম লেখা ডা. সাবরীনা আরিফ। তবে সরকারি নথিতে তার নাম সাবরিনা শারমিন হুসাইন।

আরিফসহ ৬ জন গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জেকেজির প্রতারণার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাবরিনার নামও উঠে আসে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে যে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, ডা. সাবরিনাকেও সেই একই মামলার আসামি করার প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে ডা. সাবরিনাকে গ্রেফতারের পর বিকালে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এক অফিস আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়, ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়্যারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেয়া ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তিনি। এ কারণে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সরকারের অনুমতি ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে থাকা ও অর্থ আত্মসাত সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সাবরিনার ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!