• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ৬ প্রস্তাবে কী আছে?


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৭, ২০১৯, ১০:২৯ পিএম
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ৬ প্রস্তাবে কী আছে?

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আচরণবিধি সংশোধনের সুপারিশ করে ৬টি প্রস্তাব তুলে ধরেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

প্রস্তাবনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সব নেতৃবৃন্দকে নিজ নিজ সংগঠনের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার সমান সুযোগ, ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনের বিষয়গুলো সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে।

গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ প্রস্তাবনা জমা দেন ছাত্রদল নেতারা। রবিবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সভায় ডাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন চূড়ান্ত হবে।

যে ৬ প্রস্তাব ছাত্রদলের-
১। প্রচার/প্রচারণা সংক্রান্ত  ৪(গ) ধারা সংশোধন করে পরিবেশ পরিষদের সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সব নেতৃবৃন্দকে নিজ নিজ সংগঠনের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার সুযোগ দিতে হবে।

২। ডাকসু এবং হল সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করার জন্য নিম্নলিখিত সুপারিশগুলোকে প্রচার/প্রচারণা সংক্রান্ত ৪ নম্বর ধারায় সংযোজন করার জন্য সুপারিশ করছি :

ক। ভোট প্রদানের গোপন বুথ ব্যতীত ভোটকক্ষ এবং সমগ্র ভোটকেন্দ্র ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে।

খ। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ছাত্র সংগঠনগুলোর কোনো প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের কোনো প্রকার হয়রানি, মামলা দেওয়া এবং গ্রেফতার না করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

গ। প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠানে সাবেক ডাকসু নেতৃবৃন্দদের উপস্থিত থাকার সুযোগ দিতে হবে।

৩। নির্বাচনী সভা, সমাবেশ ও শোভাযাত্রা সংক্রান্ত ৫(খ) ধারা সংশোধন করে  প্রচার-প্রচারণাকে আরো প্রাণবন্ত ও স্বতঃস্ফূর্ত করার জন্য ৪৮ ঘণ্টার পূর্বে সভা/সমাবেশ/শোভাযাত্রা করার অনুমতি গ্রহণের সময়সীমা শিথিল করতে হবে।

৪। উসকানিমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান এবং উচ্ছৃঙ্খল আচরণ সংক্রান্ত ৮ নম্বর ধারায় নিম্নলিখিত প্রস্তাবটিকে সংযোজন করার জন্য সুপারিশ করছি:

ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে অথবা করলে তাদেরকে সহজেই সনাক্ত করা যায়।

৫। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত ১০(ক) ধারায় বলা হয়েছে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ‘অনুমোদিত ব্যক্তি’------- এখানে অনুমোদিত ব্যক্তির আওতায় কে বা কারা থাকার যোগ্যতা রাখবেন তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নিশ্চিত করতে হবে।

৬। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত ১০(গ) ধারাটি সংশোধন করে নিম্নলিখিত প্রস্তাবটি সংযোজন করার জন্য সুপারিশ করছি:

রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি ব্যতিরেকে গণমাধ্যম কর্মীদের অবাধে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ, ছবি তোলা এবং ভোটকেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচার করার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাবি শাখা ছাত্রদল সভাপতি মেহেদী তালুকদার গণমাধ্যকে বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবনায় বেশ কিছু বিষয়ের ওপর সংশোধন আনা হয়েছে। সেগুলো প্রশাসনের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।’

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসু নির্বাচনের জন্য আগামী ১১ মার্চ দিন ঠিক করা হয়।

গত ১৬ জানুয়ারি ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ঢাবি ক্যাম্পাসে মিছিল ও সমাবেশ করে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ। সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতারা অবিলম্বে ডাকসুর তফসিল ঘোষণাসহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবি জানান। এর একদিন পরই ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৫ সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মাথায় ১৯২৪ সালে ডাকসুর প্রথম কার্যক্রম শুরু। বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পূর্বপর্যন্ত প্রায় নিয়মিতই ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯০ সালে। সুদীর্ঘ ২৮ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে এবার পথ খুলছে ডাকসু নির্বাচনের।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!