• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ডাক্তারদের ফি নির্ধারণে হচ্ছে নতুন আইন


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১২, ২০১৬, ০৩:০৮ পিএম
ডাক্তারদের ফি নির্ধারণে হচ্ছে নতুন আইন

বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবা পেতে হলে অনেক বেশি খরচ করতে হয় বলে অভিযোগ অনেক পুরানো। চিকিৎসা খাতে রোগীদের ব্যায়ের একটা বড় অংশই চলে যায় ডাক্তারদের ফি ভরতে ভরতে। বাকি অংশ যায় হাসপাতাল ক্লিনিকে থাকার খরচ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয়- অপ্রয়োজনীয় টেস্টে (পরীক্ষা)। এছাড়া ওষুধপত্রেরে খরচ তো আছেই। এসবের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের ইচ্ছামতো টাকা আদায় করে রোগীদের কাছ থেকে।

প্রাইভেট প্র্যাকটিসে অনেক চিকিৎসক খেয়ালখুশি অনুযায়ী অনৈতিকভাবে ফি আদায় করছে বলেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। যদিও বর্তমানে বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স-১৯৮২’ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।

এ আইনের তফশিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা চিকিৎসকদের মেডিকেল ফি বা কনসালটেশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেটি অনুসারিত হয়না। তাই চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ফি হালনাগাদ করতে সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেন, ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স-১৯৮২’ অধ্যাদেশ হালনাগাদ ও যুগোপযোগী করে ‘বেসরকারি চিকিৎসা সেবা আইন-২০১৬’-এর খসড়া শিগগিরই চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। নতুন আইন প্রণয়ন হলে বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে যুগোপযোগী ও হালনাগাদ ফি নির্ধারণ করা সম্ভব হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

নতুন আইন হলে বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে যুগোপযোগী ও হালনাগাদ ফি নির্ধারণ সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি এই চিকিৎসা সেবার নতুন আইনটির খসড়া তৈরি করে খুব দ্রুতই মন্ত্রীসভায় উপস্থাপন করা হবে। এ আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক কর্তৃপক্ষ, খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও চিকিৎসক নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এরপর সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর আইনটির খসড়া চূড়ান্ত করে শিগগিরই তা মন্ত্রিপরিষদ সভায় উত্থাপিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে আইনটিতে থাকবে চিকিৎসাসেবা প্রদানের যোগ্যতা, শর্ত ও লঙ্ঘনে শাস্তির বিধান সম্পর্কিত বিষয়গুলি। আইনের লঙ্ঘনে প্রচলিত নিয়মে আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। আইনে ফি গ্রহণের বিষয়টিও উল্লেখ থাকবে।

এছাড়া কারা লাইসেন্স পেতে পারে তারও শর্ত দেয়া থাকবে। এ আইনের অধীন লাইসেন্স ছাড়া কোন ব্যক্তি চিকিৎসা পরিচালনা করতে পারবে না। চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থেকে লাইসেন্স নিতে হবে এমন বিধানও থাকতে পারে এই আইনে। নতুন এ আইনটি হলে ‘দ্যা মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিনেন্স- ১৯৮২’ বাতিল বলে গণ্য হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম

Wordbridge School
Link copied!