• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, আটক ৫


আদালত প্রতিবেদক অক্টোবর ১১, ২০১৮, ০৪:৪৫ পিএম
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, আটক ৫

ঢাকা : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশ হয়েছে সম্প্রতি। এ আইন নিয়ে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। এরই মধ্যে এ আইনে প্রথম মামলা হয়েছে। ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী প্রতারক চক্রের সদস্যরামেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী প্রতারকচক্রের গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

মামলায় অভিযুক্তরা হলো, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার কালাম গাজীর ছেলে কাউসার গাজী (১৯), চাঁদপুরের মতলবের জাকির হোসেনের ছেলে সোহেল মিয়া (২১), মাদারীপুরের কালকিনির হাসানুর রশীদের ছেলে তারিকুল ইসলাম শোভন (১৯), নওগাঁর পত্নীতলার আলমের ছেলে রুবাইয়াত তানভির (আদিত্য), টাঙ্গাইলের কালিহাতীর আনসার আলীর ছেলে মাসুদুর রহমান ইমন।

তাদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় বুধবার (১০ অক্টোবর) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ধারা ২৩(২), ২৪(২) ও ২৬(২)-সহ পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন ১৯৮০-এর ৪/১৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল‍্যা নজরুল ইসলাম।  তিনি বলেন, এই প্রশ্ন ফাঁসকারী প্রতারকচক্রের মাস্টারমাইন্ড কাউসার গাজীকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, বর্তমানে আমরা প্রশ্ন ফাঁস করতে পারছি না।  তাই নিজেদের মতো করে প্রশ্ন তৈরি করি। বিভিন্ন ফেক ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করি।

মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, মাস্টারমাইন্ড কাউসার গাজীকে এ কাজে সহযোগিতা করতো তার বন্ধু সোহেল মিয়া। সে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভুয়া বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতো।

প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের কাছ থেকে পাওয়া মোবাইল ফোনপ্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে আরও জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজ করে আসছে। কিন্তু এবার প্রশাসনের তৎপরতায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারেনি। কিন্তু ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে ১০টি ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মেডিক্যালের প্রশ্ন পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রচারণা চালায়।

গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে মোল্লা নজরুল জানান, তারা বিভিন্ন সাজেশন বই, বিগত বছরগুলোর প্রশ্নপত্র একত্রে করে এই ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে। এই ভুয়া প্রশ্নপত্র কতিপয় ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিম বুধবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর কাজলাপার, দনিয়া, যাত্রাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে দুটি মোবাইল ও একটি বিকাশ রেজিস্টারসহ দুজনকে গ্রেফতার করে। এছাড়া একই দিন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৯টার দিকে বাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বাড্ডা থানাধীন আলিফনগর এলাকা থেকে তিনজনকে তিনটি মোবাইল ও দুটি ল্যাপটপসহ গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় আসামিদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল, দুটি ল্যাপটপ ও বিকাশের বিন রেজিস্টার উদ্ধার করা হয়।  মামলার তদন্ত বিষয়ে বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, এই মামলাটি তদন্তাধীন আছে। আমরা আশা করি প্রতারকচক্রের আরও বেশ কিছু সদস্যকে গ্রেফতার করতে পারবো।

প্রসঙ্গত, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিলটি ২০ সেপ্টেম্বর সংসদে পাস হয়। এরপর গত ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিলটিতে সম্মতি দেন। সেদিন থেকে এটি আইন হিসেবে কার্যকর হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!