• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রথম মামলায় ৫ জন রিমান্ডে


আদালত প্রতিবেদক অক্টোবর ১১, ২০১৮, ০৯:০০ পিএম
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রথম মামলায় ৫ জন রিমান্ডে

ঢাকা : রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর সংসদে পাস করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকরের তিনদিনের মাথায় এর প্রয়োগ শুরু হলো। মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী প্রতারকচক্রের গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার এ আদেশ দেন।

রিমান্ডের আসামিরা হলেন, কাউসার গাজী, সোহেল মিয়া, তারিকুল ইসলাম শোভন, রুবাইয়াত তানভির আদিত্য ও মাসুদুর রহমান ইমন।

এর আগে প্রতারকদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় সদ্য পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম কোনো মামলা দায়ের করে সিআইডি।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের (উপ-পরিদর্শক) শিব্বির আহমেদ আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম এই ৫ প্রতারককে গ্রেফতারের কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসকারী এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড কাউসার গাজী। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, আসল প্রশ্ন ফাঁস করতে না পারায় এখন তারা নিজেরাই ভুয়া প্রশ্নপত্র করছে। পরে সেসব প্রশ্ন বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করতেন।’

মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, মাস্টারমাইন্ড কাউসার গাজীকে এ কাজে সহযোগিতা করতেন তার বন্ধু সোহেল মিয়া। তিনি অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভুয়া বিকাশ একাউন্ট খোলার মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতেন।

তিনি বলেন, ‘চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের প্রতারণা করে আসছেন। এ বছর প্রশাসনের তৎপরতার কারণে মেডিকেলের আসল প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে না পারায় ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে ১০টি ভুয়া ফেসবুক একাউন্টের মাধ্যমে প্রচারণা চালান তারা।’

সিআইডি’র এই কর্মকর্তা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এই মামলাটি তদন্তনাধীন আছে। আমরা আশা করি, শিগগিরই এই প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কতিপয় ব্যক্তির ফেসবুক একাউন্টে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে বুধবার রাজধানীর কাজলা, দনিয়া, যাত্রাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে দুটি মোবাইল ও একটি বিকাশ রেজিস্টার খাতাসহ দু’জনকে আটক করে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিম।

এরপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাড্ডার আলিফনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি মোবাইল ও দুটি ল্যাপটপসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!