ঢাকা : রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। এ অবস্থায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মশক নিয়ন্ত্রণ ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে সংস্থাটি।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরিতে আয়োজিত এক শোভাযাত্রার অনুষ্ঠানে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুটি বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে। যারা মশক নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত আছেন এবং যারা পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত আছেন তাদের সব ছুটি আমি ক্যানসেল করেছি। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া যত দিন নিয়ন্ত্রণে না আসবে, মৌসুম যত দিন থাকবে এ আদেশ তত দিন বলবৎ থাকবে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত রাজধানীতে ৫৫৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। সে সময় পর্যন্ত দুজন রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ১৭ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ১৬৬ জনে দাঁড়ায়। অর্থাৎ এক মাসে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে চার হাজার ৬০৮ জন।
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত ২ জুলাই উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি এবং নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু মশার উৎপত্তিস্থল জমে থাকা স্বচ্ছ পানি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব তিন দিন জমে থাকা স্বচ্ছ ও পরিষ্কার পানিতে ডেঙ্গুর জন্ম হয়। আপনারা এ ধরনের পানি জমতে দেবেন না। বাড়ির আঙিনায়, ফুলের টবে, পরিত্যক্ত টায়ারে, জমে থাকলে তা পরিষ্কার করুন। আমাদের নিজ উদ্যোগে এসব কাজ করতে হবে।
মেয়র আরো বলেন, ডিএনসিসির এলাকা থেকে ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী এডিস মশা নিধন না হওয়া পর্যন্ত আমরা সার্বিকভাবে কাজ করে যাব। মশক নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির মশকনিধন কর্মী ও সুপারভাইজাররা নিয়মিত কাজ করছে।
প্রতিটি এলাকার মশকনিধন কর্মী, সুপারভাইজার ও মনিটরিং কর্মকর্তার নাম ও মোবাইল নম্বর ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। যে কেউ তাদের ফোন করে এ বিষয়ে জানাতে পারবেন। সেই সঙ্গে জবাবদিহির আওতায় আনা যাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সংসদ সদস্য আসলামুল হক, সাদেক খান, সাবেক ক্রিকেটার আকরাম খান, ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ, চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস, রিয়াজ, অরুণা বিশ্বাস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর, রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :