• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডেভিড বুনকে এই কারণে মনে রাখবে অস্ট্রেলিয়া


রবিউল ইসলাম বিদ্যুৎ মে ১৬, ২০১৯, ০৯:৪৮ পিএম
ডেভিড বুনকে এই কারণে মনে রাখবে অস্ট্রেলিয়া

ছবি সংগৃহীত

ঢাকা: ১৯৮৭ বিশ্বকাপে ফেভারিটদের তালিকায় ছিল না অস্ট্রেলিয়ার নাম। অথচ কলকাতার ইডেন গার্ডেনে সেই দলটিই ক্যাঙ্গারুদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ উপহার দিয়েছিল। আর ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে জেতাতে যিনি বড় ভ‚মিকা রেখেছিলেন তার নাম ডেভিড বুন। ১২৫ বলে ৭৫ রানের ইনিংসটি বুনকে এনে দেয় ম্যান অব দ্য ফাইনালের পুরষ্কার।

ইডেন গার্ডেন্সের ফাইনালের কিছু দিন আগে মুম্বাইয়ে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ৩৫ রানে হেরে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় গোটা ভারতবর্ষের! হওয়ারই কথা, ঘরের মাঠে যে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা হলো না ১৯৮৩ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের। রাগে, ক্ষোভে দুঃখে ইডেনের ৭০ হাজার দর্শক তাই ফাইনালের দিন হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার সমর্থক।
 
আরেক সেমিফাইনালে লাহোরে পাকিস্তানকে ১৮ রানে পর্যদস্তু করে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমবার ফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় মুষড়ে পড়ে পাকিস্তানও। অর্থাৎ উপমহাদেশের বিশ্বকাপে নেই উপমহাদেশের দল! সত্যি, এই অঞ্চলের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এটা ছিল দারুন হতাশার।

শুধু ফাইনালেই অমন ইনিংস খেলেছেন বুন তা কিন্তু নয়। পুরো টুর্নামেন্ট জুুড়েই ছিল তার আধিপত্য। সাত ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৩৭২। এরমধ্যে আবার রয়েছে চারটি ফিফটি। ফাইনালে বুনের সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে নামেন জিওফ মার্শ। ১০ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতেই তারা তুলে ফেলেন ৫২ রান।
৭৫ রানের মাথায় মার্শ (২৪) আউট হলে বুন দ্বিতীয় উইকেটে ডিন জোন্সের (৩৩) সঙ্গে গড়েন ৭৬ রানের জুটি। অসিরা যখন মাঠ কাঁপাচ্ছেন তখন গ্যালারিতে গর্জন তুলছেন সমর্থকরা। স্টিভ ওয়াহ পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ওটা অসাধারণ মূহুর্ত। তাদের সমর্থন আমাদের দারুন কাজে লেগেছে।’

বুন যখন ড্রেসিংরুমে ফিরলেন উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ততক্ষণে বড় স্কোরের ভিত্তি পেয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া ১৬৮/৪। স্কোরটাকে আরও স্বাস্থ্যবান করতে অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার ৩১ এবং মাইক ভেলেটা ৩১ বলে খেললেন অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে গেল ধরাছোঁয়ার বাইরে ২৫৩/৫। সেই সময় এই রান ছিল পাহাড়ের সমান। কারণ গোটা টুর্নামেন্টে এটাই ছিল কোন দলের সর্বোচ্চ স্কোর।

জবাব দিতে নেমে ২ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রান তুলে অস্ট্রেলিয়াকে চোখ রাঙাচ্ছিল ইংল্যান্ড। শেষ অবধি নির্ধারিত ৫০ ওভারে ইংলিশদের থামতে হয় ২৪৬/৮ রানে। ৭ রানে জিতে প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের স্রোতে ভাসে বোর্ডারের অস্ট্রেলিয়া।

এরপর ১৯৯২ বিশ্বকাপেও ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড। এবার তাদের কপাল পোড়ে ইমরান খানের পাকিস্তানের সামনে পড়ে। কার্যত ১৯৮৭ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে অস্ট্রেলিয়া। আর দিনের পর দিন ক্রিকেটের আতুর ঘর ইংল্যান্ড হারিয়ে যেতে থাকে! সবমিলিয়ে তিনবার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেও কখনও ট্রফি জয়ের স্বাদ পায়নি ইংলিশরা।

 সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!