• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা-চট্টগ্রাম ইলেকট্রিক ট্রেন চলবে


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৮, ২০২০, ১০:২১ পিএম
ঢাকা-চট্টগ্রাম ইলেকট্রিক ট্রেন চলবে

ঢাকা: রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ট্রেন দুর্ঘটনা রোধের জন্য ট্রেন ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজেশন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে বেগম লুৎফুন নেসা খানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।

আরেক এমপির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নারায়নগঞ্জ হতে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ‘ইলেকট্রিক ট্রাকশন (ওভারহেড ক্যাটেনারী ও সাব স্টেশন নির্মাণ ) প্রবর্তনের জন্য সম্ভাবতা সমীক্ষা এবং বিশদ ডিজাইন’ শীর্ষক করার জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। 

বিকালে স্পিকার ড. শিরীণ শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, রেল দুর্ঘটনার প্রধান কারণ ট্রাক, কোচ, ব্রীজ ইত্যাদি মেনটেনডেন্সের অভাব। এছাড়া অবৈধ লেভেল ক্রসিং গেট দিয়ে অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচল, রেলওয়েতে ইঞ্জিন বিকলতা, ট্রেন থেকে যাত্রী লাফ দেয়া, রেল লাইন ভেঙে যাওয়া, টেলিফোন ব্যবস্থার অচলবস্থা, লাইনের পয়েন্ট ফেটে যাওয়া, ট্রেন পার্টিং লাইনচ্যুতি, রেলগাড়ির ক্ষতির কার্যক্রম করা, লাইনের ওপর দিয়ে গরু,বাছুর ছাগলসহ পশুর যাতয়াত, বন্যার কারণে ট্রেন লাইনের ক্ষতি হওয়া, সিগনাল ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে দু ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ইত্যাদি কারণে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। রেল দুর্ঘটনা রোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের আরো সচেতন করার জন্য বিভিন্ন মোটিভেশনাল কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার জন্য দায়ি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বরিশাল যাচ্ছে রেল 

মহিববুর রহমানের (পটুয়াখালী-৪) এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বরিশাল জেলা রেলনেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য ভাঙা হতে বরিশাল হয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত রেলপথ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের বিশদ নকশা প্রণয়ন ও দরপত্র দলিল তৈরিসহ ভাঙা জংশন (ফরিদপুর) হয়ে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল লাইন তৈরির জন্য সম্ভাবতা সমীক্ষা প্রস্তাব ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর পরিকল্পনা মন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বর্তমানে মাঠপর্যায়ে সমীক্ষা কার্যক্রম ৫১ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এ কাজটি শেষ হলে ভবিষ্যতে এ লাইনটি কুয়াকাটা সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।

আবদুল মান্নানের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের ৪৪ টি জেলায় রেল পথ রয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম ইলেকট্রিক ট্রেন চলবে 

পীর ফজলুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের নারায়নগঞ্জ হতে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ‘ইলেকট্রিক ট্রাকশন (ওভারহেড ক্যাটেনারী ও সাব স্টেশন নির্মাণ ) প্রবর্তনের জন্য সম্ভাবতা সমীক্ষা এবং বিশদ ডিজাইন’ শীর্ষক করার জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। গত বছরের ৭ জুলাই পরিকল্পণা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সমীক্ষা প্রস্তাব রেলমন্ত্রণালয়ে পাঠান হয়েছে। উক্ত সমীক্ষা প্রকল্পের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিনিয়োগ প্রকল্প নেয়া হলে এবং বাস্তবায়ন করলে তা দেশের রেলপথের আধুনিকায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

তানভীর ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দেশে ৯৮টি রেল স্টেশন তৈরি এবং ১৮৫টি স্টেশন পূণ নির্মাণ করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!