• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা থেকে পালানো করোনা আক্রান্ত নারী রাজবাড়ী থেকে উদ্ধার


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ৮, ২০২০, ০৯:২১ পিএম
ঢাকা থেকে পালানো করোনা আক্রান্ত নারী রাজবাড়ী থেকে উদ্ধার

রাজবাড়ী : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পালিয়ে আসা সোনিয়া (২৮) নামে এক রোগীকে রাজবাড়ী থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করেছে সদর থানা পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ। 

বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে সোনিয়াকে উদ্ধার করে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। এ ঘটনায় বক্তারপুর ও পার্শ্ববর্তী সমেশপুর গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। 

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ‘কয়েকদিন আগে সোনিয়া অসুস্থ্য হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। সেখান থেকে তাকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রেফার করা হয়। ওই হাসপাতালে তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়লে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে মঙ্গলবার বিকেলে স্বামীর সঙ্গে পালিয়ে তিনি রাজবাড়ীর দাদশী ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে চলে আসেন। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে রাত ৩টার দিক থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে। পরে জেলা সিভিল সার্জন ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওই বাড়িতে গিয়ে পুলিশের সহযোগীতায় সোনিয়া ও তার স্বামী মালেক সরদারকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করেন।’

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সোনিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত এখানেই তাদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে যদি তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাহলে তাদের আবারও ঢাকায় পাঠানো হবে।’

রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈদুজ্জামান খান বলেন, ‘সোনিয়ার স্বামীর গ্রাম বক্তারপুর ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম সমেশপুর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সোনিয়ার স্বামীর বাড়ি যাতায়াতের সবকটি রাস্তা বাঁশা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। দাদশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে হটলাইন নম্বর চালু করতে বলা হয়েছে। লকডাউনে থাকা দু’টি গ্রামের কোন মানুষের যদি খাদ্য সামগ্রী প্রয়োজন হয় তাহলে ফোন করা মাত্রই তাদের বাড়িতে স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা খাদ্য পৌঁছে দিবেন।’  

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!