• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা মেডিকেলে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ২০


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৭:১২ পিএম
ঢাকা মেডিকেলে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ২০

ফাইল ছবি

ঢাকা : রক্তের রিপোর্ট দিতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসতাপাতালের প্যাথলজি বিভাগে  দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের ঢামেক জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢামেকের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাইকিং করে সংঘর্ষকারীদের শান্ত হতে অনুরোধ করেন । তার আহ্বানে সংঘর্ষ থামলেও পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি।

ঢামেক সূত্র জানিয়েছে, রক্তের রিপোর্ট দিতে দেরি হওয়ার কারণে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে এ সংঘর্ষ বাধে। ঢামেক জরুরি বিভাগে ডিউটিরত ব্রাদার মো. রাসেলের সঙ্গে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

তিনি জানান, দুপুর সাড়ে ১২টায় আমার এক আত্মীয়ের রক্তের রিপোর্ট আনতে আমি প্যাথলজি বিভাগে যাই। নিয়ম অনুযায়ী আমি সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অনেকক্ষণ লাইনে থাকার পরও রিপোর্ট না পেয়ে আমি রিপোর্ট প্রদানকারী কর্মকর্তাকে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাই।

ওই কর্মকর্তা আমাকে জানান যে, আপনি ব্রাদার হলেই আপনার রিপোর্ট তাড়াতাড়ি দেব, এমন কোনো কথা আছে?

এর পর পরই তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রিপোর্ট প্রদানকারী ওই ব্যক্তি ব্রাদার রাসেলের কলার ধরে মারধর করে। এ সময় আরও তিনজন এর প্রতিবাদ করলে বিষয়টি সংঘর্ষে রূপ নেয়।

ঘটনাটি হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার এ কে এম নাসির উদ্দিন জানার পরপর তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষ থামান। সবার উদ্দেশে তিনি বলেন, এটা হাসপাতাল। মানুষ চিকিৎসার জন্য আসে, আপনারা সবাই শান্ত হোন। কী হয়েছে? বিষয়টি নিয়ে পরে আলোচনা হবে বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি।

এ দিকে প্যাথলজি বিভাগে তিনজন নার্সকে আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে’ এমন গুজব হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়ে। এ খবরে অন্য নার্সরা মিছিল করে প্যাথলজি বিভাগে জড়ো হন। সে সময় প্যাথলজি বিভাগের গেট বন্ধ করে দেয়া হলেও ভেতরে দুপক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাঁধে।  

ওই সংঘর্ষে প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আজিজের ওপরও হামলা হয় বলে অভিযোগ এসেছে। এ ব্যাপারে ডা. আজিজ বলেন, ‘আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি, একপর্যায়ে তারা আমার ওপর হামলা করে।’

প্যাথলজি বিভাগের একটি সূত্র জানায়, ঢাকা মেডিকেলে চতুর্থ শ্রেণি ও টেকনোলজিস্টদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটেছে। সংঘর্ষে রোগী বা বহিরাগত কারও সংযোগ নেই। বরং প্যাথলজি বিভাগে তাদের হাতাহাতি ও মারামারিতে সাধারণ রোগীরাও আহত হয়েছেন। এতে তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। ঘটনার সময় রোগী ও তদের স্বজনদের আতঙ্কে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে।

এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যায় ঢামেকের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বলে জানা গেছে।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!