• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার নেট বোলার থেকে বিশ্বরেকর্ড গড়া কে এই আলিস


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ১২, ২০১৯, ০৯:০৫ এএম
ঢাকার নেট বোলার থেকে বিশ্বরেকর্ড গড়া কে এই আলিস

ঢাকা: আলিস আল ইসলাম। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই নামে কেউ আছেন কেউ জানতেন না। না জানাটা দোষের কিছু নয়। তিনি তো ঢাকার ঘরোয়া ক্রিকেট বলতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, এনসিএল, বিসিএল কোনটিতেই খেলেননি। তবে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে খেলেছেন।

তা প্রথম বিভাগে তো কতশত ক্রিকেটার খেলেন, কজনকে আর মানুষ চেনে! অচেনা আলিসই শুক্রবার বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেললেন। ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি আর কারও নেই। এই কীর্তিই গড়লেন আলিস। যেটা তাঁকে নিশ্চিতভাবেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও খবরের শিরোনাম বানিয়ে দেবে।

ঢাকা ডায়নামাইটসের নেটে বল করতেন আলিস। তাঁকে জীবনের সেরা উপহারটা দিয়েছেন কোচ খালেদ মাহমুদ। শুক্রবার তৃতীয় ও ইনিংসে ১৮তম ওভারের শেষ তিন বলে মোহাম্মদ মিঠুন, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ফরহাদ রেজাকে তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন ২৩ বছর বয়সী আলিস।

ম্যাচ সেরা হয়ে এসে নিজের পরিচয় দিয়ে আলিস বললেন, ‘আমি আলিস আল ইসলাম। ঢাকা ডায়নামাইটসের নেট বোলার ছিলাম। আগে আমি ঢাকা প্রথম বিভাগে খেলেছি। নেট বোলিং করার সময় সুজন (ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ) স্যার আমাকে দেখেন। দেখে ওনার বিশ্বাস হয় যে আমি ভালো করতে পারব, তারপর আমাকে টিমে নেন। তার পর টিম ম্যানেজমেন্ট, প্লেয়াররা আমাকে দারুণ সহযোগিতা করেছেন। সেখান থেকেই আজকের একাদশে।’

একাদশে থাকবেন সেটি বৃহস্পতিবারই জেনেছেন। মানসিক প্রস্তুতিটা যেন নিতে পারেন। আলিস বলছিলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় জানতে পারি খেলব। স্যার (খালেদ মাহমুদ) আমাকে ডেকে বলেন শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে। আমি প্রস্তুতই ছিলাম। এত বড় স্টেডিয়ামে, এত বড় টুর্নামেন্টে প্রথম খেলা নার্ভাস হওয়ার মতোই বিষয়। আমি প্রথমে নার্ভাস ছিলাম, তার পরও ভালো হয়েছে।’

ষষ্ঠ বোলার হিসেবে বল করতে এসেছিলেন আলিস। তাঁর আগে দুটি ক্যাচ ড্রপ করেছিলেন। নার্ভাস থেকেই যে এমনটা হয়েছে সেটি আলিস স্বীকারও করেছেন,‘ বিপিএলে এটা আমার প্রথম ম্যাচ। খোলাসা করে বলতে গেলে স্টেডিয়ামেই এটা আমার প্রথম ম্যাচ। আমি আসলে অনেক নার্ভাস ছিলাম। তবে ক্যাচ দুটি ড্রপ করার পর সতীর্থরা অনেক সাহস দিয়েছে। কোচ সাহস দিয়েছেন। সবাই অনেক সাহস দিয়েছেন।

তাতে আমার মনে হয়েছে যে, ভালো জায়গায় বল করতে পারলে ভালো কিছু হতে পারে। আমি শুধু ভালো জায়গায় বল করতে চেয়েছি।’
কিভাবে ক্রিকেটে এলেন? আলিসের উত্তর,‘ আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করি কাঁঠাল বাগান গ্রিন ক্রিসেন্ট ক্লাব থেকে। তারপর কয়েক বছর সেকেন্ড ডিভিশন খেলার পর ফাস্ট ডিভিশন খেলি। তারপর এই বিপিএল।’

শেষের ওভারের সেই স্নায়ু পরীক্ষা সম্পর্কে বললেন, ‘আসলে প্রথম দুটি বল স্ট্যাম্পের বাইরে করেছি। যেটা শফিউল ভাই ভালো জায়গায় পেয়েছে। তারপর ভাবলাম স্ট্যাম্পের মধ্যে করি। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, মনে হচ্ছিল পারব।’


সোনালীনিউজ/আরআইবি/আকন

Wordbridge School
Link copied!