• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবি ছাত্রকে পেটাল পুলিশ সার্জেন্ট!


ঢাবি প্রতিনিধি এপ্রিল ১২, ২০১৯, ০৫:০৭ পিএম
ঢাবি ছাত্রকে পেটাল পুলিশ সার্জেন্ট!

ঢাকা: নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। এতে সেই শিক্ষার্থীর মাথায় আঘাত লাগে। এর জেরে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মারধরের শিকার হয়েছেন সেই সার্জেন্টও। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে টিএসসি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ট্রাফিক সার্জেন্টের মারধরে আহত ঢাবি শিক্ষার্থীর নাম এলিচ আল মাহমুদ আকাশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। আর ঢাবি শিক্ষার্থীদের মারধরে আহত হয়েছেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার ট্রাফিক সার্জেন্ট সুমন আহমেদ।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে টিএসসির ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনের রাস্তায় হাঁটছিলেন আকাশ। সঙ্গে তার বান্ধবীও ছিলেন। এমন সময় পেছন থেকে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এসে তাকে ধাক্কা দেয় ট্রাফিক সার্জেন্ট সুমন। এতে আকাশ পড়ে যান। সার্জেন্টের কাছে ‘ঢাবির কেউ কিনা’ জানতে চান তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সার্জেন্ট তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে ‘রাস্তা কি তোর বাপের নাকি, তুই চিনস আমারে।’

পরবর্তীতে সেই সার্জেন্ট বাইক চালিয়ে চলে যেতে চাইলে বাধা দেন আকাশ। সঙ্গে সঙ্গে সেই সার্জেন্ট ‘আমি পুলিশের লোক, চিনস আমারে’ বলে আকাশকে মারতে থাকে। আকাশকে বাঁচাতে গিয়ে তার বান্ধবীও আহত হন। এ সময় টিএসসি মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছয়-সাতজন পুলিশ সদস্য এসে সেই সার্জেন্টকে বাঁচানোর দায়িত্ব নেয়। এরই মধ্যে আকাশ মারধরের শিকার হয়েছে শুনে তার হল (বঙ্গবন্ধু হল) থেকে ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী টিএসসি আসে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনাস্থলে এসে মারধরকারী সার্জেন্টের বিচার করার আগ পর্যন্ত তাকে থানায় নিতে দিবে না বলে জানায়।

এদিকে, খবর পেয়ে শাহবাগ থানা থেকে আরো ১৫-২০ জন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে আসে। তারা এসে ওই সার্জেন্টকে গাড়িতে তুলে শাহবাগ থানায় নিয়ে যেতে চাইলে তাতে বাধা দেয় শিক্ষার্থীরা। পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় ওই সার্জেন্টকেও মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যদিকে, এ ঘটনার পর আকাশকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আকাশ বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন সদস্য ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে আমাকে মারধর করলেন। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট সুমন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাহেব আলী বলেন, এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। আকাশ নামে একজন আহত হয়েছে বলে জেনেছি। আর সার্জেন্ট সুমন এখন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন। তিনি সুস্থ হলে তার কাছ থেকে বিস্তারিত শুনতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা উভয় পক্ষের বক্তব্যই শুনেছি। দোষী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!