• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তবুও শিষ্যদের পারফর্মেন্সে খুশি বাংলাদেশের কোচ


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ১০, ২০১৮, ০৭:২০ পিএম
তবুও শিষ্যদের পারফর্মেন্সে খুশি বাংলাদেশের কোচ

ছবি: বাফুফের সৌজন্যে

ঢাকা: ঘরের মাঠে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালে খেলা হয়নি স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের। সেই হতাশা কাটানোর সুযোগ এসেছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে। কিন্তু শক্তিশালী ফিলিস্তিনের বিপক্ষে পেরে উঠেনি জামাল-সুফিল-জীবনরা। শীর্ষ র‌্যাংকধারী ফিলিস্তিনের কাছে ২-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে জামাল-সুফিলরা। তবে শিষ্যদের নৈপুন্য সন্তুষ্ট লাল সবুজ দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে।

কারণ ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ আর ফিলিস্তিনের মধ্যে যোজান যোজন দূরত্ব। র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৯৩ ধাপ এগিয়ে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনির অবস্থান ১০০, আর বাংলাদেশ ১৯৩তম স্থানে। শুধু র‌্যাংকিংয়েই নয়, ফিলিস্তিন দলের খেলোয়াড়দের শরিরিক গঠনও স্বাগতিকদের চেয়ে এগিয়ে। তাই মধ্যপ্রচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সঙ্গে পাল্লা দিয়েই হেরেছে বাংলাদেশ। সুঠাম দেহের অধিকারী ওই দলটির সঙ্গে হারলেও বলের দখলে এগিয়ে ছিল স্বাগতিক দলের খেলোয়াড়রা। আক্রমনেও এগিয়ে জামাল ভুইয়ার দল। তবে সফল ফিনিশিংয়ের অভাবও ভুগিয়েছে স্বাগতিক শিবিরকে। ভাল ফিনিশার থাকলে আজকের কক্সবাজারের ম্যাচের ফলাফল হয়তো অন্য রকম হতো।

তারপরও শিষ্যদের এমন লড়াকু মনোভাবে সন্তুষ্ট স্বাগতিক দলের কোচ জেমি ডে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শিষ্যদের প্রশংসায়ও ভাসিয়েছেন এই ইংলিশ কোচ। তিনি বলেন,‘স্বাগতিক হিসেবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে না পারা অব্যশ্যই আমার জন্য হতাশার। তবে আমি ছেলেদের পারফরমেন্সে হতাশ না।’ এর কারন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জেমি ডে বলেন, প্রতিপক্ষ দলটি র‌্যাংকিংয়ে আমাদের চেয়ে ৯৩ধাপ এগিয়ে। ওদের খেলোয়াড়রা দীর্ঘদেহী। এই ম্যাচে আগে আমার ভয় ছিল সেটপিস। ওরা দীর্ঘদেহী। কর্ণার কিংবা ফ্রিকিকে যাতে ওরা বাড়তি সুবিধা না পায় তা নিয়ে আমি কাজ করেছি। আমরা কিন্তু সেট পিস থেকে কোনো গোল হজম করেনি।’

টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পারফরমেন্স মূল্যায়ন করতে গিয়ে এই কোচ বলেন, ‘লাওসে বিপক্ষে আমরা দারুন ফুটবল খেলেছি। ফিলিপাইনের বিপক্ষে জিততে না পারলেও আমি খুশি ছিলাম। এখানেও ছেলেরা আমাকে গর্বিত করেছে।’

ফিনিশিংয়ের দূর্বলতা প্রসঙ্গে জেমি ডে বলেন, গোল করার মতো স্টাইকার তার দলে নেই। এর কারন হিসেবে দেশের ফুটবল সংস্কৃতিকে দায়ী করেন এই কোচ। বড় দলের বিপক্ষে গোল করতে হলে শেষ টাচটা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ্য করে স্বাগতিক কোচ বলেন,‘ এসব দলের বিপক্ষে সুযোগ খুব একটা পাওয়া যাবে না। যখন আসবে তখন শেষ ফিনিশিংটা যেন নিখুঁত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমি ড্রেসিরুমে সেই জিনিসটাই ওদের বার বার বলেছি। তবে মাঠে সেটা হয়নি।’

এদিকে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে না পারার কারন হিসেবে ভেজা মাঠকে দায়ী করেছেন ফিলিস্তিনের কোচ আইলাদ আলী নরুদ্দিনী। ম্যাচ শেষে এই কোচ বলেন, ‘মাঠের কারনেই আমরা গ্রাউন্ডে না খেলে উপর উপরে খেলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা ভালো করেছে। তারা আমাদের এসব পরিকল্পনা ভন্ডুল করেছে।’

ম্যাচে একাধিক সুযোগ নষ্ট করা বাংলাদেশী ফরোয়ার্ড নাবীন নেওয়াজ জীবনের প্রশংসা করেন ফিলিস্তিন কোচ। তিনি বলেন,‘ জীবন খুবই ভালো মানের স্ট্রাইকার। ওর প্রচন্ড গতি আছে। বারবার আমাদের ডিফেন্সকে পরীক্ষায় ফেলেছে।’

ফাইনালের প্রতিপক্ষ তাজিকিস্তান প্রসঙ্গে নরুদ্দিনী বলেন,‘ওরা আমাদের চেয়ে একদিন বেশী বিশ্রাম পাবে ফাইনালের আগে। এটা তাদের জন্য বাড়তি সুবিধা।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!